মেদিনীপুর, 17 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্ত হাতে নিল সিআইডি। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের ডেকে জেরা করা হচ্ছে ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন ডেপুটি সুপার-সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তাও।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 198, 105, 125 (বি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের ঘটনার অভিযুক্ত 12 জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে । সূত্রের খবর, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় এই অভিযোগ জমা করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর । ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থানায় গিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো ওই রিপোর্ট জমা দিয়ে আসেন বলে খবর ৷
সেই অভিযোগ পেতেই এফআইআর করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এরপর সিআইডি টিম এলে তাদের হাতে এফআইআর তুলে দেওয়া হয়। এরপর এদিন বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত শুরু করে সিআইডি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস থেকে বেরিয়ে তদন্তকারী দল বিকেল নাগাদ হাসপাতাল সুপারের রুমে এসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। ডেপুটি সুপার-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠানো হয় । চলে জিজ্ঞাসাবাদ ।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মেয়াদোত্তীর্ণ পাঁচ অসুস্থ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয় গত শুক্রবার ৷ অভিযোগ, এক্সপায়ার হওয়া স্যালাইন ও চিকিৎসার গাফিলতিতেই মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷ এদিকে তিন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় ৷ একজন মেদিনীপুর মেডিক্যালেই রয়েছেন ৷
অন্যদিকে, মাম্পি সিং, নাসরিন খাতুন ও মিনারা বিবির কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে । যদিও রেখা সাউয়ের সদ্যোজাত পুত্রের মৃত্যু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম পাঠায় রাজ্য সরকার ৷ তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার-সহ মোট 12জন ডাক্তার, পিজিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন । সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত ভার তুলে নেয় সিআইডি ।