ETV Bharat / state

'জুয়েল থিফ' গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে বিহার থেকে আসানসোলে আনল সিআইডি - GANGSTER SUBODH SINGH ARRESTED

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 30, 2024, 7:44 PM IST

Gangster Subodh Singh: গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এল সিআইডি ৷ রানিগঞ্জে সোনার ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল চক্রী বলে মনে করা হচ্ছে এই সুবোধকে ৷ এমনকী গত 15 জুন বেলঘরিয়ার এক ব্যবসায়ীর উপর বিটি রোডে গুলি চালানোর ঘটনায় সুবোধের নাম উঠে এসেছে ৷

Gangster Subodh Singh Arrested
আসানসোলে নিয়ে আসা হল গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে (ছবি- নিজস্ব চিত্র)

আসানসোল, 30 জুন: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সোনার দোকানে লুঠ, তোলাবাজি ও সুপারি কিলিংয়ের মাথা গ্যাংস্টার সুবোধ সিং ৷ 'জুয়েল থিফ' নামে পরিচিত সেই সুবোধ সিংকে আজ নিয়ে আসা হল আসানসোলে ৷ বিহারের বেউর জেলে বন্দি ছিল সে ৷ রবিবার সিআইডি ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে আসানসোলে নিয়ে এসেছে ৷

রানিগঞ্জে সোনা ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায়, সুবোধকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ আপাতত একদিনের জেল হেফাজতে রয়েছে সুবোধ ৷ রবিবার আসানসোল সিজিএম কোর্টে তোলা হয় সুবোধকে ৷

রানিগঞ্জে সোনার ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেই মামলাতেই সুবোধকে নিয়ে আসা হয়েছে আসানসোলে ৷ তবে, এ রাজ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে ৷ একে একে সব মামলাতেই এই কুখ্যাত অপরাধীকে ট্র‍্যাক করা হতে পারে ৷ আগামিকাল সুবোধকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে ৷ 6 বছর আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল সুবোধ সিং ৷ কিন্তু, তারপরেও অপরাধমূলক কাজকর্ম থামেনি ৷ অভিযোগ বিহারের জেলে বসে ফোনে তার নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে সুবোধ ৷

গত 15 জুন বেলঘরিয়া শুট আউট-কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে সুবোধের ৷ নাম জুড়েছিল ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনাতে ৷ সূত্রের খবর, বিহারের বেউর জেলের সেক্টর-3-এর ওয়ার্ড নম্বর 22 থেকে বসে ফোনেই কাজ সারত সে ৷ সাইপ্রাসের সার্ভার ব্যবহার করে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (ভিওআইপি) ফোনকলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হুমকি ও তোলাবাজি থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত এই সুবোধ ৷

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সম্পন্ন ব্যবসায়ীদের কাছেও ‘তোলা’ চেয়ে ফোন করে সুবোধ ৷ উল্লেখ্য, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক ব্যাংক ডাকাতি দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল সুবোধ সিংয়ে ৷ এরপর ব্যারাকপুর অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠে সুবোধ ৷ তার দুই সাগরেদ রমেশ সিং ও সানয় সিং বিহারের জেল থেকে ফোনে ব্যবসায়ীদের শাসাত বলে অভিযোগ ৷ এমনকী ব্যারাকপুরের এক প্রতিষ্ঠিত বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর পুত্র তথা তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যকে হুমকি দিয়ে 20 লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে এই গ্যাংস্টার ৷ মোটের উপর সুবোধ নামে আতঙ্কিত গোটা ব্যবসায়ী মহল ৷

জানা যায়, ওই বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা না পেয়ে, 2022 সালের মে মাসে শুটারদের দিয়ে গুলি চালিয়ে দু’জনকে জখম করেছিল সুবোধ ৷ ফের সেই ব্যবসায়ী পুত্রকে টার্গেট করে সুবোধ তোলা চাওয়ায় ঘুম ছুটেছে পরিবারের ৷ আতঙ্কিত ব্যবসায়ী পুত্র অনির্বাণ দাস ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন ইতিমধ্যে ৷ টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সুবোধের যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷ বেউর থেকে সুবোধ সিংয়ের ইশারায় মণীশ খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ যে মামলার তদন্ত এখনও চলছে ৷

পুলিশের অনুমান, কয়লাপাচার-কাণ্ডে খুন হওয়া রাজু ঝা, কিংবা আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগত খুনের মামলাতেও জড়িত থাকতে পারে সুবোধ সিং ৷ এমনকী রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনারও মাস্টারমাইন্ড এই সুবোধ হতে পারে ৷ দীর্ঘদিন ধরে সিআইডি তাকে চেষ্টা করছিল এ রাজ্যে নিয়ে আসার ৷ অবশেষে সুবোধ সিংকে বিহার থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসা গিয়েছে ৷ আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে ৷ যেহেতু রবিবার আদালত বন্ধ ছিল ৷ তাই সুবোধকে সিজেএম আদালতে তোলা হয় ৷ তাকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷ সোমবার আবার তাকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে ৷

যদিও আদালত থেকে বেরনোর সময় সুবোধ সিং দাবি করেন, "আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ আমি 6 বছর ধরে জেলে রয়েছি ৷ বাংলার পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে ৷" তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জেল থেকে তিনি কি ফোন করতেন ? সুবোধের জবাব, 'না' ৷

আসানসোল, 30 জুন: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সোনার দোকানে লুঠ, তোলাবাজি ও সুপারি কিলিংয়ের মাথা গ্যাংস্টার সুবোধ সিং ৷ 'জুয়েল থিফ' নামে পরিচিত সেই সুবোধ সিংকে আজ নিয়ে আসা হল আসানসোলে ৷ বিহারের বেউর জেলে বন্দি ছিল সে ৷ রবিবার সিআইডি ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে আসানসোলে নিয়ে এসেছে ৷

রানিগঞ্জে সোনা ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায়, সুবোধকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ আপাতত একদিনের জেল হেফাজতে রয়েছে সুবোধ ৷ রবিবার আসানসোল সিজিএম কোর্টে তোলা হয় সুবোধকে ৷

রানিগঞ্জে সোনার ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেই মামলাতেই সুবোধকে নিয়ে আসা হয়েছে আসানসোলে ৷ তবে, এ রাজ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে ৷ একে একে সব মামলাতেই এই কুখ্যাত অপরাধীকে ট্র‍্যাক করা হতে পারে ৷ আগামিকাল সুবোধকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে ৷ 6 বছর আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল সুবোধ সিং ৷ কিন্তু, তারপরেও অপরাধমূলক কাজকর্ম থামেনি ৷ অভিযোগ বিহারের জেলে বসে ফোনে তার নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে সুবোধ ৷

গত 15 জুন বেলঘরিয়া শুট আউট-কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে সুবোধের ৷ নাম জুড়েছিল ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনাতে ৷ সূত্রের খবর, বিহারের বেউর জেলের সেক্টর-3-এর ওয়ার্ড নম্বর 22 থেকে বসে ফোনেই কাজ সারত সে ৷ সাইপ্রাসের সার্ভার ব্যবহার করে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (ভিওআইপি) ফোনকলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হুমকি ও তোলাবাজি থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত এই সুবোধ ৷

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সম্পন্ন ব্যবসায়ীদের কাছেও ‘তোলা’ চেয়ে ফোন করে সুবোধ ৷ উল্লেখ্য, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক ব্যাংক ডাকাতি দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল সুবোধ সিংয়ে ৷ এরপর ব্যারাকপুর অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠে সুবোধ ৷ তার দুই সাগরেদ রমেশ সিং ও সানয় সিং বিহারের জেল থেকে ফোনে ব্যবসায়ীদের শাসাত বলে অভিযোগ ৷ এমনকী ব্যারাকপুরের এক প্রতিষ্ঠিত বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর পুত্র তথা তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যকে হুমকি দিয়ে 20 লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে এই গ্যাংস্টার ৷ মোটের উপর সুবোধ নামে আতঙ্কিত গোটা ব্যবসায়ী মহল ৷

জানা যায়, ওই বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা না পেয়ে, 2022 সালের মে মাসে শুটারদের দিয়ে গুলি চালিয়ে দু’জনকে জখম করেছিল সুবোধ ৷ ফের সেই ব্যবসায়ী পুত্রকে টার্গেট করে সুবোধ তোলা চাওয়ায় ঘুম ছুটেছে পরিবারের ৷ আতঙ্কিত ব্যবসায়ী পুত্র অনির্বাণ দাস ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন ইতিমধ্যে ৷ টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সুবোধের যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷ বেউর থেকে সুবোধ সিংয়ের ইশারায় মণীশ খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ যে মামলার তদন্ত এখনও চলছে ৷

পুলিশের অনুমান, কয়লাপাচার-কাণ্ডে খুন হওয়া রাজু ঝা, কিংবা আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগত খুনের মামলাতেও জড়িত থাকতে পারে সুবোধ সিং ৷ এমনকী রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনারও মাস্টারমাইন্ড এই সুবোধ হতে পারে ৷ দীর্ঘদিন ধরে সিআইডি তাকে চেষ্টা করছিল এ রাজ্যে নিয়ে আসার ৷ অবশেষে সুবোধ সিংকে বিহার থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসা গিয়েছে ৷ আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে ৷ যেহেতু রবিবার আদালত বন্ধ ছিল ৷ তাই সুবোধকে সিজেএম আদালতে তোলা হয় ৷ তাকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷ সোমবার আবার তাকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে ৷

যদিও আদালত থেকে বেরনোর সময় সুবোধ সিং দাবি করেন, "আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ আমি 6 বছর ধরে জেলে রয়েছি ৷ বাংলার পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে ৷" তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জেল থেকে তিনি কি ফোন করতেন ? সুবোধের জবাব, 'না' ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.