মুর্শিদাবাদ, 23 জানুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশ জাল করে নিম্ন আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির জামিনের ঘটনায় সিআইডির জালে মূল আসামি । রবিবার রাতে ভরতপুর থানার আঙারপুর ব্রিজ থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালু শেখকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি ৷ আদালতে তোলা হলে 10 দিনের সিআইডি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছে আদালত ৷ একই সঙ্গে এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিআইডি।
তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি লালু শেখকে জামিনে মুক্ত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ জাল করার পরিকল্পনা করেন তারই ছেলে লাবু শেখ। এক আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে জাল বা ভুঁয়ো নথি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল লাবু। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সিআইডির পক্ষ থেকে। অভিযুক্ত লালু শেখকে এজলাসে তোলার সময় লালু শেখ বলেন,"এই ঘটনার জন্য আদালতের আইনজীবী নীলোৎপল মন্ডল ও অরিন্দম রায় জড়িত। সোমবার বিচারপতি ভাস্কর মজুমদার 10 দিনের সিআইডি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, লালু শেখ নামে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নথি জাল (জামিনের নির্দেশ) করে তা কান্দি আদালতে পেশ করা হয়। সেই নথি দেখে নিম্ন আদালত জামিন দেয় লালুকে। পরে ওই নথি খতিয়ে দেখে বোঝা যায় ওই জামিনের নির্দেশের নথি সম্পূর্ণ ভুঁয়ো। বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন সিআইডি।
উল্লেখ্য,2015 সালে ভরতপুর এলাকার আশরফ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালু শেখকে । 2018 সালে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে কান্দি আদালত । 2021সালে হাইকোর্টের জাল নথি দেখিয়ে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল লালুর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নথি জাল (জামিনের নির্দেশ) করে তা কান্দি আদালতে পেশ করে ছিলেন তার ছেলে লাবু সেখ । সেই নথি দেখে নিম্ন আদালত জামিন দেয় লালুকে। পরে ওই নথি খতিয়ে দেখে বোঝা যায় ওই জামিনের নির্দেশের নথি সম্পূর্ণ ভু্ঁয়ো। বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন সিআইডি।
আরও পড়ুন: