কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একইসঙ্গে, লন্ডন স্কুল ইকোনমিকসেরও আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে ছাত্রছাত্রীরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায় বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভবানীপুরে মডার্ন স্কুলে এসে এই সুখবর জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রোগ্রামগুলিতে যেতে চান তিনি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই এগুলিকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না বলে জানা গিয়েছে।
ভবানীপুরের মন্মথনাথ নন্দন বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুল যেখানে একটা সময় শিক্ষকতা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়া এলাকায় এই স্কুলটি পড়ে। এই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাথমিক স্কুল হিসাবে। একটা ভাড়া বাড়িতে চলত সেই স্কুল। সেখানেই পড়াতেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সে সময় তার বেতন ছিল মাত্র 60 টাকা। একটা সময় এই স্কুলের ঝাঁপ প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। তখনই ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে পুজো ভ্রমণে বেরিয়ে এই স্কুলটি বাঁচানোর পরিকল্পনা নেন তিনি। পরে পাঁচ কাঠা জমি কিনে এই স্কুলটির নবরূপ দেওয়া হয়েছে। আজ সেখানেই নবরূপে স্কুলটির উদ্বোধন করা হল। উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয় উদ্বোধনের মঞ্চে রীতিমতো স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এখন এই স্কুলে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সেখানে দিনের বেলায় রাজ্য সরকারের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলও চালু করা হচ্ছে। সেই স্কুলেরই আজ উদ্বোধন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু এই দিন এই স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট-এর রেজিস্টার্ডে পরিণত হয়েছে তাই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সম্পূর্ণ পরিচর্যা নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন পাশাপাশি স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা টুকু টুকু স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গতকালই আমার কাছে নিমন্ত্রণ এসেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডেকেছে জুন মাসে। সঙ্গে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের ছাত্র-ছাত্রীরা আমার সঙ্গীর মিট করতে চেয়েছেন। যাইহোক আমি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। কারণ এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রাম আমি এটাকে এড়িয়ে যেতে পারি না।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিন ও ইউরোপের মাটি থেকে নানা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেসময় তাঁকে বিদেশ সফরের অনুমতি না-দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে ওই সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু গতবছর সেই ছবিটাই বদল হয়েছে। কেন্দ্রের অনুমতি নিয়েই শিল্প আনতে স্পেন ও দুবাই সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। এখন যখন আবারও মমতা বিদেশযাত্রার কথা জানালেন তখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি তার বিদেশ সফরে অন্তরায় হয় কি না।
আরও পড়ুন: