ফরাক্কা, 5 নভেম্বর: নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে 21 দিন পর 622 পাতার চার্জশিট পেশ করল ফরাক্কা থানার পুলিশ । জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভ হালদারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে । এ দিন চার্জ গঠন হচ্ছে । এর আগে, সোমবার দুপুরে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত দু'জনকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।
উল্লেখ্য, গত 13 অক্টোবর দাদুর বাড়ির সামনে খেলা করার সময় হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বছর নয়ের এক নাবালিকা । প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদারের বাড়ির চৌকির তলা থেকে উদ্ধার হয় তার বস্তাবন্দি দেহ । নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা দীনবন্ধু হালদারকে ব্যাপক মারধর করেন ।
ওই নাবালিকা পুজোয় মামার বাড়িতে এসেছিল ৷ অভিযোগ, মামার বাড়িতে সমবয়সিদের সঙ্গে খেলায় সময় অভিযুক্ত তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল । নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সাক্ষী ছিল তার বন্ধুরা । এরপর নাবালিকাকে খুঁজে না-পাওয়ায় পরিবার ও গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় । সেখানেই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় ।
ঘটনায় পর গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালে দু'দিন চিকিৎসাধীন ছিল দীনবন্ধু হালদার ৷ এরপর ফরাক্কা থানার পুলিশ খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং পকসো আইনের 6 নম্বর ধারায় অভিযুক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে । দীনবন্ধুকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে নাবালিকা খুনের ঘটনায় শুভ হালদার নামে আরও এক যুবক জড়িত রয়েছে ।
19 অক্টোবর পুলিশ শুভকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে । ধৃত শুভর বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ । নাবালিকাকে খুন ও তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে দীনবন্ধুকে শুভ সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ । এরপর থেকে বালিকাকে গণধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে আন্দোলন বিক্ষোভে উত্তাল হয় ফরাক্কা । অবশেষে মঙ্গলবার এই খুনের মামলায় দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে ।