আসানসোল, 26 জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলের ফতেপুর গ্রামে ৷ গ্রামেরই একাংশ পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করেছিল একটি মন্দিরের সামনে ৷ অভিযোগ গ্রামবাসীদের 'ষোল আনা' কমিটি সেই অনুষ্ঠান করতে বাধা দেয় ৷ তাদের দাবি ছিল মন্দিরের সামনে পতাকা উত্তোলন করা যাবে না ৷ প্রয়োজনে আয়োজকরা নিজেদের বাড়ির সামনে পতাকা উত্তোলন করুক ৷ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ফতেপুরে ৷
খবর পেয়ে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৷ অভিযোগ পুলিশও গ্রামবাসীদের 'ষোলআনা' কমিটির পক্ষ নেয় ৷ উদ্য়োক্তাদের বলা হয়, স্থান পরিবর্তন করে পতাকা উত্তোলন করার জন্য ৷ শেষ পর্যন্ত একজনের বাড়ির সামনে পতাকা উত্তোলিত হয় ৷ জানা গেছে, শুক্রবার সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন আসানসোলের 57 নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর গ্রামের কিছু বাসিন্দা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও গরিব মানুষদের কম্বল দানের একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিল ৷ স্থানীয় একটি মন্দিরের সামনে এই অনুষ্ঠান করার জন্য তারা তৈরি হচ্ছিল ৷ কিন্তু গ্রামবাসীদের 'ষোল আনা' কমিটি উদ্যোক্তাদের বাধা দেয় ৷
কমিটির সভাপতি কার্তিক মাজি জানিয়েছেন, "এই অনুষ্ঠান করার জন্য আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি ৷ মন্দিরের সামনে কোনও এই ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না ৷ আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে কোথাও আপত্তি নেই ৷ কিন্তু, সেটা মন্দিরের সামনে করা যাবে না ৷ সেটা তারা তাদের ইচ্ছে মতো নিজেদের বাড়ির সামনে করুক ৷ পাশাপাশি, আমাদের এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে না ডেকে, তারা 58 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলকে এখানে প্রধান অতিথি করে নিয়ে এসেছে ৷ এই বিষয়টিও যথেষ্ট দৃষ্টিকটূ ৷"
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ৷ দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায় ৷ ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী আসে ৷ পুলিশ এসে 58 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রোহিত নোনিয়াকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে ৷ সেই কারণে পুলিশ 'ষোল আনা' কমিটির পক্ষ নিয়ে উদ্যোক্তাদের বলেন, তারা মন্দির সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে দিয়ে নিজেদের বাড়ির সামনে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করুক ৷ তাতে কারও কোন আপত্তি থাকবে না ৷ এরপর এক বাসিন্দার বাড়ির সামনে সেই পতাকা উত্তোলন করা হয় ৷
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে রাখী সেন অভিযোগ, গ্রামের 'ষোলআনা' কমিটির তাদের পরিবারের উপরে প্রায়শই অত্যাচার করে ৷ তাদেরকে প্রায় এক ঘরে করে রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ মন্দিরের সামনে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, গ্রামবাসীদের একাংশের বাধার জন্য এই পতাকা উত্তোলন মন্দিরের সামনে করা যায়নি ৷ তারা অনৈতিক কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: