বোলপুর, 21 নভেম্বর: অনুব্রতর গড়ে তৃণমূলের কার্যালয় দখল ঘিরে উত্তেজনা ৷ দলের এক গোষ্ঠীর কার্যালয়ের দখল নিল তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকজন ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশবাহিনী ৷ মোতায়েন করা হয় মহিলা পুলিশও ৷
জানা গিয়েছে, দলীয় কার্যালয়টি এক ব্যক্তির বাড়িতে । তৃণমূলকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিল তিনি ৷ সেই বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল অপর গোষ্ঠীর লোকজন । এই বিষয়ে মহিদাপুর এলাকার তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিক বলেন, "15 বছর ধরে এটা তৃণমূলের পার্টি অফিস ৷ বাবু দাস কয়েকদিন ধরে এটা বন্ধ করে রেখেছে ৷ আমরা তাই এই পার্টি অফিস দখল নিলাম ৷ অনুব্রত মণ্ডলের ছবি লাগিয়ে দিলাম ৷"
স্থানীয় রূপপুর অঞ্চলের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা বোলপুর পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু দাসের কথায়, "পার্টি অফিস বন্ধ কেন থাকবে ? পার্টি অফিসের সামনে নিকাশিনালার কাজ হচ্ছে তাই বন্ধ ৷ আমরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ৷ দাদার নামকে কলুষিত করতে নোংরামি করছে ৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷"
জানা গিয়েছে, বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারে রূপপুর অঞ্চলের তৃণমূল-কংগ্রেসের কার্যালয় রয়েছে। রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তৃণমূলের রূপপুর অঞ্চলের পর্যবেক্ষক বাবু দাসের কার্যালয় ছিল । এমনটাই এলাকায় রটনা ৷ সেই কার্যালয় বৃহস্পতিবার দখল নিতে আসে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন ৷ কার্যালয়ের উপরে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া ব্যানার ও দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ তবে এই কার্যালয়টি এক ব্যক্তির বাড়ি ৷
বাড়ির মালিক রোজিনা খাতুন ও তাঁর মেয়ে সেরিনা বিবি বলেন, "আমাদের বাড়ি এটা ৷ বাবু দাসকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থেকে বলেছে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে পার্টি অফিস করা যাবে না ৷ সেদিন থেকে অফিস বন্ধ ৷ ওদের নিজেদের ঝামেলা ৷ তার জন্য আমাদের এখানে এসে তালা ভাঙল, পতাকা লাগিয়ে দিল ৷ ওরাও তৃণমূলের লোক তবে অন্য এলাকার ৷"