কলকাতা, 16 মার্চ: 2024 লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল শনিবার। নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন দুপুরে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ 19 এপ্রিল থেকে শুরু হবে নির্বাচন, শেষ হবে 1 জুন। ফল ঘোষণা হবে 4 জুন। পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেই তালিকায় নাম আছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশেরও ৷ তবে এই নির্বাচন একটি বা দু'টি দফার করানোর কথা প্রথম থেকেই বলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে নির্বাচন ঘোষণার পরেই এই সাত দফা ভোটের যুক্তি জানতে চাইল তৃণমূল কংগ্রেস।
কমিশনের আজকের এই ঘোষণা তৃণমূলের মতে, 'প্রধানমন্ত্রী অধিনায়কত্ব করে আম্পায়ার বেছে দিচ্ছেন।' যার প্রতিবাদ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
- নেত্রী তথা রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা দেখেছি যদি এক বা দু-দফায় ভোট হয়, তাহলে ভোটারদের ভোট দিতে সুবিধা হয় এবং ভোটদানের সংখ্যাও বাড়ে। 2019 সালের অনেক দফায় ভোট হয়েছিল। তবে তখন আগের (2014) বছরের তুলনায় ভোটারের সংখ্যা কমেছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিপন্থী ৷ এতগুলো দফায় ভোটের ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আর্থিক দিক দিয়ে বলবান তারা তাদের পূর্ণক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে ৷ আবার 2021 সালের কোভিডের কারণ দেখিয়ে আট দফায় ভোট হয়েছে। এবারের সাত দফা নির্বাচনের যুক্তি কী?"
- তবে এই সাত দফার নির্বাচন হলেও তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে বলেই আশাপ্রকাশ করে অন্য আরেক প্রবীণ তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
- অপরদিকে, এই সাত দফা নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "এই সাত দফায় নির্বাচন ভালো হবে ৷ আমাদের রাজ্যে ভোটের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ, এমনকী দেশেও তাই। ফলে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে হবে। ইভিএম পর্যন্ত যাতে মানুষ পৌঁছতে পারে সেই ব্যবস্থায় সুনিশ্চিত করতে হবে। আর ইলেক্টোরাল বন্ডের যে টাকা সেটা নিয়ে যাতে কেউ কারচুপি না-করতে পারে তাও দেখতে হবে।"
- বিজেপির তরফের এই সাত দফা ভোট ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "কমিশনের এই ঘোষণায় আমারও কিছুটা চমকে উঠি। উত্তরপ্রদেশ যেখানে ভোটকে ঘিরে কোনও সন্ত্রাস বা ভোটলুটের অভিযোগ নেই। সেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সাত দফায় ভোট। আবার একদিকে যখন ভোট ঘোষণা করছে তখন অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা দিকে দিকে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।"
- তিনি আরও বলেন, "এমনকী বহু বিধায়করাও মানুষদেরকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে ঠিক আছে আইনশৃঙ্খলা রয়েছে কি না, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হতে পারে কি না, সেটা মানুষ দেখতে পাচ্ছে।" অপরদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, "আট দফায় ভোট হলে ভালো হত। প্রত্যেক ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পশ্চিমবাংলায় ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তবে তৃতীয়বার মোদি সরকার আসবে তার জন্য আমি আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: