চন্দ্রকোণা, 9 সেপ্টেম্বর: কয়েক বছর ধরে অন্ধকারে আচ্ছন্ন যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা । বহুবার প্রশাসনের কাছে আরজি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি ৷ অবশেষে পুরসভার উদ্যোগে পুজোর আগে ঘুচতে চলেছে সেই অন্ধকার । প্রায় 44 লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তায় 100টি 'স্ট্রিট ল্যাম্প' বসাচ্ছে চন্দ্রকোণা পুরসভা ৷ রাস্তায় আলো বসানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে ৷ আর তা দেখে, আনন্দিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার একাধিক গ্রামের মানুষ ।
এলাকাবাসী ও নিত্য পথচারীদের দাবি, জন্ম থেকেই চন্দ্রকোণা পুরসভার 6, 8 ও 9 নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ পিচ রাস্তার পুরোটাই সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে ডুবে যায় । কারণ, রাস্তা জুড়ে কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই দীর্ঘদিন । এলাকার 6 নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী মোড় থেকে 9 নম্বর ওয়ার্ডের কমরগঞ্জ হয়ে 8 নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তীপুরের শেষ প্রান্ত ডালিমাবাড়ি অবধি প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা দশকের পর দশক অন্ধকারে ডুবে রয়েছে । ফাঁকা মাঠ পেরিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মাধ্যমে চন্দ্রকোণা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে পাশ্ববর্তী বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালিমাবাড়ি, হরিসিংপুর, বৈকুন্ঠপুর-সহ একাধিক গ্রামের । পুরুষদের পাশাপাশি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় মহিলাদেরও ।
এমনকী, পড়াশোনার জন্য চন্দ্রকোণা শহরে যাতায়াত করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের । সন্ধ্যা নামলেই গোটা রাস্তা অন্ধকার হয়ে যায় । ফলে সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । বিশেষ করে নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ৷ সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে এই অন্ধকার রাস্তায় টর্চ হাতে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীদের ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা জুড়ে কোনও আলোর ব্যবস্থা না থাকায় নেশার আসর বসে যায় সন্ধ্যায় ।তাই বাধ্য হয়ে দলবেধে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন এলাকাবাসীরা ৷ আবার, অনেক সময় এই রাস্তা এড়ানোর জন্য ঘুরপথে অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর ।
দীর্ঘদিনের এই সমস্যার কথা মানছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ ৷ তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে অবশেষে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই রাস্তা ৷ চন্দ্রকোণা পুরসভা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় 3 কিলোমিটার এই রাস্তার অন্ধকার ঘুচাতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে তারা ৷ প্রায় 100টি আলো বসানোর কাজ শেষের মুখে । এর জন্য প্রায় 44 লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে চন্দ্রকোণা পুরসভার তরফে । পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানিয়েছেন, পুজোর আগেই আলো ফিরতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় ।