চন্দননগর, 26 জুন: জন্মের পরই সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ উঠল চন্দননগর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ বাবাকে পুত্র সন্তান দেখানো হলেও পরে তাঁর হাতে সদ্যোজাত কন্যা তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলল পরিবার ৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চন্দননগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ তবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ৷
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ ঋতু রায় নামে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন ৷ এরপর দুপুর 12টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে সন্তানের জন্ম দেন তিনি ৷ এরপর সদ্যোজাতের বাবাকে পুত্র সন্তান দেখানো হয় ৷ সেই অনুযায়ী স্বাক্ষরও করেন বাবা বিশ্বজিৎ রায় ৷
এদিকে সদ্যোজাত পুত্রসন্তান দেখানোর 15 মিনিট বাদে একটি কন্যা সন্তান নিয়ে আসেন এক স্বাস্থ্য কর্মী ৷ তাঁর দাবি, ভুলবশত সদ্যোজাত পুত্র সন্তান দেখানো হয়েছিল ৷ এতেই আপত্তি তুলেছেন সদ্যোজাতের বাবা ৷ ওয়ার্ডের মধ্যেই চিৎকার করতে থাকেন তিনি ৷ এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে চন্দননগর থানার পুলিশ ৷
এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ৷ পোলবার পাওনানের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায় এবার হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগ তুলেছেন ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে তুলে বিশ্বজিৎ রায় বলেন, "আমাকে প্রথমে পুত্র সন্তান দেখিয়ে সই করানো হয়। পরেই আবার ভুল হয়েছে বলে কন্যা সন্তান দেখায়। আদতে কী সন্তান হয়েছে, আমি বুঝতে পারছি না ৷ এর তদন্ত করুক হাসপাতাল সুপার ৷ না হলে আদালতের দ্বারস্থ হব ৷ আমি ডিএনএ তদন্তেরও দাবি করছি ৷"
এদিকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, "শিশু জন্মের পরেই প্রসূতিকে দেখানো হয়েছিল ৷ তিনি জানিয়েছেন, কন্যা সন্তানই জন্ম দিয়েছেন ৷ যেহেতু স্বাস্থ্যকর্মী ভুলবশত অন্য শিশু দেখিয়েছিলেন, তার জেরেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে ৷ পরিবারের অভিযোগ শুনে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি ৷ আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি ৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এই প্রসঙ্গে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানাব ৷ অভিযোগ গুরুতর হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"