বাঁকুড়া, 10 এপ্রিল: ফের বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের প্রচার ঘিরে গোলমাল। প্রচার চলাকালীন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক নির্বাচিত সদস্য সুভাষ সরকারকে প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুভাষ সরকারের পাল্টা দাবি ওই ব্যক্তির হাতে পাঞ্চ ছিল। তাই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনা বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের জগন্নাথপুর মোড় এলাকায়। দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করে হুডখোলা গাড়িতে করে জগন্নাথপুর মোড়ে হাজির হন।
এখানেই স্থানীয় ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আবীর মণ্ডল প্রশ্ন করেন, গত পাঁচ বছরে আপনি এলাকার জন্য কী কাজ করেছেন ? আবীরের দাবি, এই প্রশ্ন করতেই সুভাষ সরকার তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেন। পাশাপাশি নেতার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।
পরে ওই এলাকা ছেড়ে প্রচারে অন্যত্র চলে যান সুভাষ সরকার। পঞ্চায়েত সমিতির ওই সদস্যকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকায় বিপুল কাজ হয়েছে। তৃণমূল এটা মেনে নিতে পারছে না। মোবাইলে ভিডিও করার উদ্যেশ্য ছিল বলেই, ওই তৃণমূল নেতা হাতে পাঞ্চ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন । হাতে পাঞ্চ থাকায় বিজেপির মহিলা কর্মীরা তাঁকে তাড়া করে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি কর্মীরাই তাঁকে বাঁচিয়েছেন বলে দাবি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর।
আরও পড়ুন: