কলকাতা, 9 মার্চ: সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের আট সাগরেদকে নোটিশ ধরাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকদের উপর হামলার সময় সেখানে ওই আটজনকে উপস্থিত ছিলেন বলে নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর ৷ এই আট সাগরেদের মধ্যে অন্যতম হল, জিয়াউদ্দিন, সইফুদ্দিন ও মারুক মীর ৷
জানা গিয়েছে, সইফুদ্দিন মূলত শেখ শাহজাহানের বিভিন্ন ব্যবসা যেমন, ইট ভাটা ও ভেড়িতে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন । পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের হয়ে সইফুদ্দিন একাধিকবার অন্য কাজও করেছেন বলে খবর । সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই দিন অর্থাৎ গত 5 জানুয়ারির হামলায় এই সইফুদ্দিন যথেষ্ঠ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই ।
সইফুদ্দিনের পরেই হামলার ঘটনায় নাম উঠে এসেছে মারুক মীরের । মূলত পেশায় গাড়ি চালক হলেও এলাকায় এই মীরের বিশেষ প্রভাব রয়েছে বলে সিবিআই জানতে পেরেছে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা যখন শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে আসেন তখন সেই অভিযানের খবর তৎক্ষণাৎ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ গ্রামের লোকেদর পৌঁছে দিয়েছিলেন এই মীরই ৷ তিনি খবর দিয়ে বেশ কয়েকজন লোক জড়ো করেছিলেন শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে বলেই সিবিআইয়ের তরফে জানা গিয়েছে ।
সূত্রের খবর, গত 5 জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার মূল মাথা জিয়াউদ্দিন ৷ তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলার ঘটনাটি পরিচালনা করেছিলেন । তবে এই তিনজন ছাড়াও তদন্তে আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার জোকার ইএস আই হাসপাতালে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে গেল সিবিআই । এদিন শেখ শাহজাহানকে সকালে প্রথম দফায় জেরা করেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর দু'দিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের দল ।
ইডি আধিকারিকদের অনুমতি নিয়েই ওইদিন 'সিল' করা শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা বাড়ির বিভিন্ন দিক এবং তার আশপাশে একদিকে তথ্য পেতে ভিডিয়োগ্রাফি করেন সেদিন । সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাজারেও গিয়েছিল সিবিআই । সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেরা করা হবে শেখ শাহজাহানকে ৷
আরও পড়ুন: