কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৷ আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি ৷ মীনাক্ষী এ দিন সিবিআই দফতরে দাঁড়িয়ে বলেন, "আরজি করের ঘটনায় তদন্তের সাহায্যের জন্য ডেকেছে সিবিআই ৷ সেজন্যই এসেছি ৷ ভেতরে গিয়ে দেখি কী হয় ৷ নির্যাতিতার দোষীরা যাতে তাড়াতাড়ি শাস্তি পায় সেটাই চাই ৷ আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে না ৷"
গত 14 অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল ৷ জানা গিয়েছে, সেই ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই । মূলত কয়েকদিন আগেই মীনাক্ষীর কাছে একটি বার্তা পৌঁছয় । সেখানে লালবাজারের তরফ থেকে বলা হয়, 14 অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছিল এবং অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন । মূলত এর আগে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষীকে ডেকে পাঠিয়েছিল লালবাজার । কারণ তারাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত করছে ৷
সিবিআই সূত্রে খবর, মূলত মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যে সকল বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে চাইবেন তা হল, গত 14 অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালের সামনে তিনি কী করছিলেন? ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত কি না ? কারা ভাঙচুর চালালো ওই হাসপাতালে ? সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে কি না ? এছাড়াও গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না ? এই সব বিষয়েও তাঁর থেকে জানতে চাইতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রথমে তদন্তে নামে লালবাজার ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে । তবে পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে । সিবিআই তদন্তে নেমে কয়েকদিন আগেই আরজি কর-কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে ৷