কলকাতা, 31 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে নতুন তথ্য হাতে পেল সিবিআই ৷ সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরে পছন্দের পোস্টিং পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন সন্দীপ ঘোষ ৷ অর্থের বিনিময়ে তিনি এই কাজ করতেন ৷ এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগসাজশ ছিল স্বাস্থ্যভবনের এক মহিলা আধিকারিকের ৷ এখনই সিবিআইয়ের তরফে ওই মহিলা আধিকারিকের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ তবে শীঘ্রই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হতে পরে বলে সিবিআই সূত্রে খবর ৷
গত 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ তার পরই এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় সন্দীপ ঘোষের ৷ সেই সময় তিনি আরজি করের অধ্যক্ষ ৷ মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তিনিই কলকাঠি নেড়েছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷ পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷
সেই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছে সিবিআই ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই তারা তদন্তে নেমেছে ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, সেই তদন্তে তারা জানতে পেরেছে যে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে পোস্টিং নিয়ে দেদার দুর্নীতি হয়েছে ৷ সেই দুর্নীতির অন্যতম কান্ডারি সন্দীপ ঘোষ ৷
সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, কোথায় কে নিজের পছন্দমতো পোস্টিং চাইছেন, তা আগে জানাতে হতো সন্দীপ ঘোষকে । পরে পোস্টিং মতো ঠিক হতো টাকার অংক । এই কাজে সন্দীপ ঘোষকে সাহায্য করতেন স্বাস্থ্য ভবনের ওই মহিলা আধিকারিক ৷ টাকার ভাগ তাঁরা দু’জনেই পেতেন ৷ সিবিআই এখন খতিয়ে দেখছে যে আর কেউ টাকার ভাগ পেত কি না, তাহলে আর কে কে জড়িয়ে রয়েছে এই চক্রে ৷
উল্লেখ্য, আরজি কর নিয়ে সিবিআইয়ের দু’টি দল ইতিমধ্যে তদন্ত করছে ৷ একটি দল আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করছে ৷ দ্বিতীয় দলটি আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ৷ সিবিআই সূত্রের খবর, পোস্টিং দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তারা প্রাথমিক ভাবে দিল্লিতে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ।