ETV Bharat / state

দুই পা দু’দিকে, শরীরের একাধিক আঘাত, অথচ কপালে হাত কীভাবে সম্ভব ? প্রশ্ন সিবিআইয়ের - RG Kar Doctor Rape and Murder - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER

CBI on RG Kar Doctor Rape and Murder: সিবিআই তদন্তে আরজি কর-কাণ্ডে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকি তথ্যপ্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনাও দেখছেন তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ সিবিআই সূত্রে উঠে আসছে, এমনই বিস্ফোরক তথ্য ৷

CBI on RG Kar Doctor Rape and Murder
আরজি কর-কাণ্ডে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সিবিআইয়ের ৷ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 20, 2024, 8:34 PM IST

কলকাতা, 20 অগস্ট: বিদ্যুতের তারের উপর বিছানা ৷ আর সেই বিছানায় শুয়ে আরজি করের মৃত নির্যাতিতা ! শরীরে একাধিক ধস্তাধস্তির চিহ্ন ৷ দুই পা দু’দিকে ৷ এমন বীভৎস অবস্থার মধ্যেও একহাত কপালের উপর তোলা ! এটা একপ্রকার অসম্ভব বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷ এর মূল কারণ, সিবিআই তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷

সিবিআই তদন্তে নেমে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল ও তার আশেপাশের ঘরে থ্রিডি ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করে ৷ সেই তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পর, সিবিআই আধিকারিকরা নিজেরাই তা একাধিকবার মিলিয়ে দেখেন ৷ আর তারপরেই বিস্ফোরক দাবি করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ওই জঘন্য অপরাধের ঘটনা সেমিনার হলে ঘটেনি ৷ হাসপাতালের অন্যত্র তাঁর উপর নির্যাতন হয় এবং তারপর সুপরিকল্পিতভাবে দেহটি তুলে এনে সেমিনার হলের ওই বিছানায় শুয়ে দেওয়া হয় ৷

সিবিআই পারিপার্শ্বিক তথ্য যাচাইয়ের পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷ প্রথমত, যে ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেখানে একাধিক ভালো বিছানা ছিল ৷ তাহলে কেন ওই চিকিৎসক পড়ুয়া বাইরের বিছানায় শোবেন ? পাশাপাশি, কারও শরীরে ধস্তাধস্তির একাধিক চিহ্ন, সঙ্গে ক্ষত ও প্রায় বিবস্ত্র ৷ তার উপর দু’টি পা দু-দিকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছড়ানো ৷ অথচ তিনি কপালে হাত রেখে শুয়ে আছেন, এটা কীভাবে সম্ভব ?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাসপাতালের থেকে মৃত নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অন্যান্য আরও অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে ৷ সেই সব তথ্যের সঙ্গে, সিবিআই নিজেদের তদন্তের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখেছে ৷ সেখানেও বিস্তর ফাকার পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা এক্ষেত্রে আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ তাই আজও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ আর সেই সূত্রে তদন্তকারীদের প্রশ্ন, চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষের গতিবিধি কেমন ছিল ? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ৷

তদন্তে নেমে সন্দীপের ব্যবহার করা মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সিবিআইয়ের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা দাবি করছেন, ঘটনার দিন ও রাতে সন্দীপের মোবাইল থেকে একাধিক জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তী সময়ে রহস্যজনকভাবে সেই চ্যাট ডিলিট করে দেওয়া হয় ৷ এখানে প্রশ্ন, কেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মুছে ফেলা হল ? কেন তিনি এই ঘটনার পর সঠিক পদক্ষেপ নিলেন না ? উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরপরই কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ কীভাবে পুলিশি তদন্তের আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যার কথা বলে দিল ? এমন একাধিক প্রশ্নের জবাব খুঁজছে সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল ৷

কলকাতা, 20 অগস্ট: বিদ্যুতের তারের উপর বিছানা ৷ আর সেই বিছানায় শুয়ে আরজি করের মৃত নির্যাতিতা ! শরীরে একাধিক ধস্তাধস্তির চিহ্ন ৷ দুই পা দু’দিকে ৷ এমন বীভৎস অবস্থার মধ্যেও একহাত কপালের উপর তোলা ! এটা একপ্রকার অসম্ভব বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷ এর মূল কারণ, সিবিআই তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷

সিবিআই তদন্তে নেমে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল ও তার আশেপাশের ঘরে থ্রিডি ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করে ৷ সেই তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পর, সিবিআই আধিকারিকরা নিজেরাই তা একাধিকবার মিলিয়ে দেখেন ৷ আর তারপরেই বিস্ফোরক দাবি করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ওই জঘন্য অপরাধের ঘটনা সেমিনার হলে ঘটেনি ৷ হাসপাতালের অন্যত্র তাঁর উপর নির্যাতন হয় এবং তারপর সুপরিকল্পিতভাবে দেহটি তুলে এনে সেমিনার হলের ওই বিছানায় শুয়ে দেওয়া হয় ৷

সিবিআই পারিপার্শ্বিক তথ্য যাচাইয়ের পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷ প্রথমত, যে ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেখানে একাধিক ভালো বিছানা ছিল ৷ তাহলে কেন ওই চিকিৎসক পড়ুয়া বাইরের বিছানায় শোবেন ? পাশাপাশি, কারও শরীরে ধস্তাধস্তির একাধিক চিহ্ন, সঙ্গে ক্ষত ও প্রায় বিবস্ত্র ৷ তার উপর দু’টি পা দু-দিকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছড়ানো ৷ অথচ তিনি কপালে হাত রেখে শুয়ে আছেন, এটা কীভাবে সম্ভব ?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাসপাতালের থেকে মৃত নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অন্যান্য আরও অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে ৷ সেই সব তথ্যের সঙ্গে, সিবিআই নিজেদের তদন্তের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখেছে ৷ সেখানেও বিস্তর ফাকার পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা এক্ষেত্রে আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ তাই আজও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ আর সেই সূত্রে তদন্তকারীদের প্রশ্ন, চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষের গতিবিধি কেমন ছিল ? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ৷

তদন্তে নেমে সন্দীপের ব্যবহার করা মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সিবিআইয়ের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা দাবি করছেন, ঘটনার দিন ও রাতে সন্দীপের মোবাইল থেকে একাধিক জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তী সময়ে রহস্যজনকভাবে সেই চ্যাট ডিলিট করে দেওয়া হয় ৷ এখানে প্রশ্ন, কেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মুছে ফেলা হল ? কেন তিনি এই ঘটনার পর সঠিক পদক্ষেপ নিলেন না ? উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরপরই কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ কীভাবে পুলিশি তদন্তের আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যার কথা বলে দিল ? এমন একাধিক প্রশ্নের জবাব খুঁজছে সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.