কলকাতা, 4 অক্টোবর: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত সুকৌশলে ধামাচাপা দেওয়ার ছক কষেছিলেন টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ । শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আজ আদালতে জানিয়েছে, গত 1 অক্টোবর থেকে 3 অক্টোবর পর্যন্ত সংশোধনাগারে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল । সংশোধনাগারে গিয়ে তাঁদের জেরা করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা । তবে জেরায় সন্দীপ ও অভিজিৎ অসহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের । তাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল উলটে এমন কিছু কথা বলেছেন, যা পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে ।
এদিন সিবিআই দাবি করে যে, 9 অগস্টের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ । তাঁদের আরও ভালোভাবে জেরা করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আদালতকে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
সিবিআই আরও জানিয়েছে, এই মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এই মামলায় আর কে কে জড়িত রয়েছে, ওই ভলান্টিয়ারকে কেউ সাহায্য করেছিলেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই । আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে প্রথমে হাসপাতালের দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল । পরে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও 15 সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
ওই মামলাতেই গত 14 সেপ্টেম্বর টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই । এই দু'জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে । আজ সন্দীপ এবং অভিজিতের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয় ৷ তাঁদের আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে দাবি করে তাঁদের ফের হেফাজতে নিতে চেয়েছে সিবিআই ৷