ETV Bharat / state

'চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা...' পার্থদের জামিন মামলায় আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের - Teacher Recruitment Scam - TEACHER RECRUITMENT SCAM

Bengal Teacher Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকে সারদার মতো করবেন না, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সওয়াল আইনজীবীর ৷ ফের মামলার শুনানি শুক্রবার ৷

Partha Chatterjee's bail case
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলা (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 20, 2024, 9:09 AM IST

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি অন্তত সারদা কাণ্ডের মতো যাতে পরিণত না-হয়, তা নিয়ে সিবিআই-এর কাছে আর্জি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, সারদা তদন্ত 2014 থেকে এখনও চলছে। সিবিআই তদন্ত করেই যাচ্ছে ৷ শেষ হচ্ছে না সেই তদন্ত। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার এই মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।

বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের জামিন মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা" এই শব্দবন্ধ মাথায় রেখেই দিনের পর দিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা দুর্নীতি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। যারা চেয়ারে ছিল না তারাই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল ম্যাজিক করেছে।"

নিয়োগ দুর্নীতির জামিন মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, "অভিযুক্তদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার কী হবে ? 20 থেকে 25 জন এমন সাক্ষী আমাদের কাছে আছে যাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও ছিল। এদের জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে।" বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়া প্রশ্ন করেন, "এদের জামিন দিলে কি এরা আবার নিজেদের পদ ফিরে পাবেন ? যদি না পান, আপনাদের ভয় কীসের ?"
ধীরজের বক্তব্য, "সিবিআইয়ের ভয়, এতে তদন্ত প্রভাবিত হবে। সরকার চার্জশিটে অনুমতি দেয়নি 18 মাস। প্রভাবশালী ছিলেন বলেই !"

মামলার শুনানি ফের শুক্রবার হবে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন একাধিক মন্ত্রী ও আমলা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক পদাধিকারী বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তারা জামিনের আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সিবিআইয়ের যুক্তি এদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। এদের জামিন দিলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ধাক্কা খাবে। হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছিল কিন্তু সিবিআই এতদিনে কী তদন্ত করেছে ? এদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করে নিম্ন আদালতে কেন বিচারপর্ব শুরু করা যাচ্ছে না দ্রুত ? সেখানে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল সেখানেও রাজ্যই বাদ সাধছে এরা প্রভাবশালী বলে।

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি অন্তত সারদা কাণ্ডের মতো যাতে পরিণত না-হয়, তা নিয়ে সিবিআই-এর কাছে আর্জি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, সারদা তদন্ত 2014 থেকে এখনও চলছে। সিবিআই তদন্ত করেই যাচ্ছে ৷ শেষ হচ্ছে না সেই তদন্ত। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার এই মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।

বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের জামিন মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা" এই শব্দবন্ধ মাথায় রেখেই দিনের পর দিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা দুর্নীতি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। যারা চেয়ারে ছিল না তারাই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল ম্যাজিক করেছে।"

নিয়োগ দুর্নীতির জামিন মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, "অভিযুক্তদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার কী হবে ? 20 থেকে 25 জন এমন সাক্ষী আমাদের কাছে আছে যাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও ছিল। এদের জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে।" বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়া প্রশ্ন করেন, "এদের জামিন দিলে কি এরা আবার নিজেদের পদ ফিরে পাবেন ? যদি না পান, আপনাদের ভয় কীসের ?"
ধীরজের বক্তব্য, "সিবিআইয়ের ভয়, এতে তদন্ত প্রভাবিত হবে। সরকার চার্জশিটে অনুমতি দেয়নি 18 মাস। প্রভাবশালী ছিলেন বলেই !"

মামলার শুনানি ফের শুক্রবার হবে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন একাধিক মন্ত্রী ও আমলা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক পদাধিকারী বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তারা জামিনের আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সিবিআইয়ের যুক্তি এদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। এদের জামিন দিলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ধাক্কা খাবে। হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছিল কিন্তু সিবিআই এতদিনে কী তদন্ত করেছে ? এদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করে নিম্ন আদালতে কেন বিচারপর্ব শুরু করা যাচ্ছে না দ্রুত ? সেখানে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল সেখানেও রাজ্যই বাদ সাধছে এরা প্রভাবশালী বলে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.