কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: আরজি কর ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এল বড় তথ্য । সিবিআইয়ের দাবি, তাদের হাতে আরজি কর-কাণ্ডের অতিরিক্ত 900 মিনিটের ফুটেজ আছে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ফুটেজকে সিবিআই আদালতে ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স হিসাবে ব্যবহার করবে ৷
সোমবার অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে আদালতে পেশ করে সিবিআই । সেখানেই তারা এই অতিরিক্ত 900 মিনিটের ভিডিয়ো ফুটেজের কথা তুলে ধরে । এছাড়াও সন্দীপ ও অভিজিতের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আরজি করা হয় । তার পর আদালত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আগামী 13 ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ।
কিন্তু সিবিআই-এর হাতে আচমকাই আসা এই 900 মিনিটের ভিডিয়ো ফুটেজে কী রয়েছে, সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি । তবে যেমনটা মনে করা হচ্ছে যে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে, তার বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো থেকে পাওয়া গেলেও যেতে পারে । আর এই ভিডিয়ো পরবর্তী সময়ে আদালতে জমা দিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে আরও বড়সড় কোনও তথ্য সামনে আনতে পারে সিবিআই ।
উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় সেই হাসপাতালেরই এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ । পরবর্তী সময়ে জানা যায়, ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সঞ্জয় রায় নামে কলকাতা পুলিশেরই এক সিভিক ভলান্টিয়ার । পরবর্তী সময়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে ।
এর পরেই জানা যায়, ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর তা সংরক্ষণ করে রাখা তো দূরের কথা, বরং সেখানে ঢুকে গিয়েছিল একাধিক বহিরাগতরা । ফলে ঘটনাস্থল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে ।
পরবর্তী সময়ে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে । তাঁদের এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷