কলকাতা, 9 মার্চ: শেখ শাহাজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার তিন দিন পর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 307-এর মতো খুনের চেষ্টার গুরুতর ধারা যুক্ত করল সিবিআই। নিজাম প্যালেস সূত্রের খবর, শাহাজাহানের বিরুদ্ধে আগেই তারা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রথমে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি ৷ ফলে সিআইডি-র কাছ থেকে শাহাজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আপডেট কপি পায়নি সিবিআই। তাই শাহজাহানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি 307 ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করতে সময় লেগেছে তাদের।
গত 5 জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন ইডি'র তদন্তকারী আধিকারিকরা। যেখানেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের লোকজন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, সেই সময় ইডি আধিকারিকদের মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে নদী পার হয়ে ধামাখালিতে এসে কোনও রকমে সেখান থেকে গাড়িতে উঠে এলাকা ছেড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার পর ইডি'র ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরভ ভারিল নিজেই নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি, গত 5 জানুয়ারি ইডি'র যে আধিকারিক বেশি আহত হয়েছিলেন, তিনিও নিজাম প্যালেসে গিয়ে নিজের বয়ান দিয়ে আসেন। এর পরেই ইডি'র তদন্তকারীকদের উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
গ্রেফতার হওয়ার পর শুক্রবারই প্রথমবার মুখ খোলেন শেখ শাহজাহান ৷ যাকে সন্দেশখালির ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, " আমি বিচারের আশায় আছি ৷" শুক্রবার তাকে দক্ষিণ 24 পরগনার জোকায় ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে তাকে সেখানে প্রবেশ করানো হয় ৷ সেই সময়ই এই কথা শোনা যায় তার মুখ থেকে ৷
আরও পড়ুন: