বাঁকুড়া, 3 মার্চ: "এবার দু'লক্ষ ভোটে জিতব", একশো শতাংশ আত্মবিশ্বাসী বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ৷ শনিবার প্রথম দফায় 195 জন বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ এর মধ্যে বাংলার 20টি আসন ৷ তাতে বাঁকুড়া লোকসভা এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ফের ডাঃ সুভাষ সরকার এবং সৌমিত্র খাঁ'য়ের উপরেই আস্থা রেখেছে গেরুয়া শিবির ৷ এই প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ জানালেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি, সভাপতি জেপি নাড্ডাজি আমার উপর ভরসা করেছেন ৷ আমি খুব খুশি ৷"
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকারের জন্য প্রচার ও দেওয়াল লিখনও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ৷ শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ডাঃ সুভাষ সরকারের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে তাঁদের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন ৷ সঙ্গে আতসবাজির রোশনাই তো ছিলই ৷ বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকায় সুভাষ সরকারের নামে দেয়াল লিখন করতে দেখা গেল বিজেপি নেতাকর্মীদের।
বিজেপি নেতা সুনীল রুদ্র মণ্ডল এদিন বলেন, "ডাঃ সরকার ফের দলের প্রার্থী হবেন এটা প্রত্যাশিতই ছিল ৷ আবারও বাঁকুড়ার মানুষ তাঁকেই জয়যুক্ত করবেন ৷ উনি বাঁকুড়ার সাংসদ হিসেবে যতখানি কাজ করেছেন, স্বাধীনতার পর আর কোনও দলের কোন সাংসদ এত কাজ করতে পারেননি ৷"
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন ৷ সেবার তিনি আদালতের নির্দেশে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে পারেননি ৷ তবে তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সুজাতা খাঁ তাঁর হয়ে প্রচার করেন ৷ সুজাতা খাঁ অবশ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ এরপর দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়, যার জল গড়ায় আদালতেও ৷ সৌমিত্র খাঁ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন: