কলকাতা, 11 নভেম্বর: সিতাই কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের প্রার্থিপদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দু'দিন পরেই উপনির্বাচন । এই বিষয়গুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের । আদালত এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না । আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত ।
আবেদনকারীর দাবি ছিল, সিতাই কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের পূজাবকাশকালীন একক বেঞ্চ অন্য একটি মামলায় নির্বাচন কমিশনকে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে 4 নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ । সেই মামলাটি অন্য বেঞ্চে বিচারাধীন ।
ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভানুদেব রায় নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন একই দাবিতে । মামলাকারীর দাবি, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত । সেজন্য সব দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় জাতিগত শংসাপত্র কী দিয়েছিলেন তা জানতে চাওয়া হলেও পর্যবেক্ষকরা তা দেখাতে রাজি হননি ।
আদালতে আবেদনকারীর দাবি, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সঙ্গীতা এবং হলফনামায় স্বামীর নাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া লিখেছিলেন । যিনি বর্তমানে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ । কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সঙ্গীতা যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, সেখানে স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের প্রয়াত পিতার নাম উল্লেখ করেছেন । সঙ্গীতা রায়ের বাবাও সংরক্ষিত শ্রেণির মধ্যে পড়েন না । সম্পূর্ণ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ অবিলম্বে তাঁর মনোনয়ন পত্র খারিজ করার দাবি জানানো হয় আদালতে ।
