কলকাতা, 29 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হুমকি প্রথা (থ্রেট কালচারে)-র অভিযোগে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের বক্তব্য কি শোনা হয়েছিল ? এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী 5 ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে আদালতে এসে এই সমস্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
কলেজের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত এদিন আদালতকে জানান, তাঁরা রেসিডেন্ট ডাক্তারদের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এনএমসিআই গাইডলাইন মেনে কমিটি তৈরি করেছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপও করা হয়েছে। তবে কমিটি অভিযুক্ত ডাক্তারদের বক্তব্য শুনেছিল কি না, এবং কবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তার বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছে নেই বলেও জানান তিনি। এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, হাসপাতালের কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে আদালতে এসে জানাতে হবে এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল।
এর আগে গত 6 ডিসেম্বর বিচারপতি সেনগুপ্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গত দু'বছরে হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে হাসপাতাল কী পদক্ষেপ নিয়েছিল সেটা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন হাসপাতালের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত যে রিপোর্ট পেশ করেছেন তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তিনি সরাসরি হাসপাতালের কাছেই জানতে চান তারা কী পদক্ষেপ করেছিল।
আরজি কর হাসপাতালের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত আগের শুনানিতে বলেছিলেন, হাসপাতাল এনএমসি গাইড লাইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিয়েছিল। সেই মতোই কলেজ কাউন্সিলের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল 51 জনকে বরখাস্ত করার। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তার উপর স্থগিতাদেশ জারি রয়েছে। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর গোটা রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে (উত্তরবঙ্গ হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ-সহ একাধিক জায়গায়) হুমকির কালচার চলছে বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সমস্ত মামলা একসঙ্গে শুনছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার আরজি কর হাসপাতালের কোনও আধিকারিককে আদালতে হাজির হয়ে বিচাপপতির প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।