কলকাতা, 22 অক্টোবর: 5 অক্টোবর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল কলেজ কাউন্সিলের মেম্বাররা ডাক্তার-সহ 51 জনকে বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সুপারিশ মাত্র। কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ নয়। রাজ্য যতক্ষণ না-সেটাকে কার্যকর করছে ততক্ষণ এই বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বৈধ নয় । এ কথা বলে সাসপেনশনের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের অবকালীন বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চেয়েছেন কীসের ভিত্তিতে তাঁদের বহিষ্কাররের সুপারিশ করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী বলেন, "জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে 5 অক্টোবর থেকে বলা হয় হাসপাতালে না-আসতে। 47 জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়। কোনও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করা হয়নি।"
আরজি কর কর্তৃপক্ষের তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তকে বিচারপতি বলেন, "অনুসন্ধান কমিটি কী করেছে দেখান।" আইনজীবী জানান, কলেজ স্পেশাল কাউন্সিল সুপারিশ করেছে বহিষ্কার করার। এখনও কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি।
যদিও আরজি কর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের তরফে অনিকেত মাহাতোর আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে কলেজে হুমকি সংস্কৃতি ছিল। সেটা নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখন এই ডাক্তারদের বহিষ্কার করা হয়েছে। হাইকোর্ট যদি এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় তাহলে সেই থ্রেট কালচারকেই বৈধতা দেওয়া হবে।"
রাজ্যের পালটা বক্তব্য, যে সংগঠনের হয়ে তিনি কথা বলছেন, সেটার কোনও রেজিস্ট্রেশনই নেই। উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত 51 জনকে সাসপেন্ড করে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মূলত তাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে বলেও জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন আগে আরজি কর হাসপাতালে স্পেশাল কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে হাউস স্টাফ, জুনিয়র ডাক্তার-সহ 51 জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশের ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।