কলকাতা, 23 জুলাই: ভুয়ো স্কুল শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য কি ইচ্ছুক নয় ? রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
ভুয়ো শিক্ষকদের বেতন ফেরাতে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় অন্তত সাত জনকে সিআইডি চিহ্নিত করেছে, যারা চাকরি করছিল বিভিন্ন স্কুলে। সিআইডি তদন্তের পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ মোতাবেক ইতিমধ্যে তাদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তারা যতদিন চাকরি করেছে সেই চাকরির টাকা 12 শতাংশ সুদ-সহ ফেরাতে হবে। সেটা কীভাবে ফেরাবে তিন সদস্যের কমিটিকে অবিলম্বে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান সিরাজুদ্দিন দেওয়ান (যিনি শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ) তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে কি কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে ? প্রশ্ন বিচারপতির। কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন, "শুধু সাসপেন্ড করে কিছু হবে ? কারণ তাকে জেল থেকে ছাড়া হলেই ফের একই কাজ তিনি যে করবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায় ? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, স্ত্রীকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন তিনি।"
অন্যদিকে, শিক্ষক দীজেন্দ্র নাথ বর্মনের তরফে এদিন আইনজীবী এক্রামুল বারি আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে তাকে কোথাও এক করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সেটা ভুল। তিনি নিযুক্ত হয়েছেন একজন অরগানাইজার শিক্ষক হিসাবে। সেইভাবে তার পদ স্থায়ী করা হয়েছে। তার কাছে সেই মর্মে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তাহলে তার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন, তাও জানান আইনজীবী ৷ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই বিষয়ে আইনজীবীকে পরবর্তী শুনানিতে তার স্বপক্ষে আদালতে কি নির্দেশ আছে, কোন নির্দেশের বলে তিনি চাকরি করছেন, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।