কলকাতা, 1 অক্টোবর: মামলা একটা, অথচ বিভিন্ন জেলার একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের ! এটা কি করা যায় ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার এই প্রশ্ন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ । অভিষেকের মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় বিজেপির দুই মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেই দু’জনের মুক্তির আবেদন মামলায় রাজ্যের আইনজীবীকে এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি ৷
শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, কুরুচিকর মন্তব্য না করেই শুধু হাততালি দেওয়ার অপরাধে বিভিন্ন থানায় এফআইআর ও জেল হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে ৷ মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘‘আবেদনকারীদের পুলিশ হেফাজতে শারীরিক নির্যাতন করা হয় । জেল হেফাজতে মেডিক্যাল চেক আপের সময় তাঁরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে । কারও মন্তব্যের প্রতিবাদ করা ও শুধু হাততালি দেওয়ার জন্য 26 দিনের জেল !’’
আদালতে তিনি আরও বলেন, একাধিক এফআইআর করা হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । আবেদনকারী দুই মহিলা কিছু বলেননি, শুধু হাততালি দেন । আবেদনকারীদের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির প্রার্থনা করছি ।’’
সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মামলাকারীরা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্যাতনের বিষয়ে অবহিত করতে পারতেন । ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের দ্বারা প্রভাবিত নন । একজন রাজনৈতিক নেতার নাবালক সন্তানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অবমাননাকর মন্তব্য । এটি একটি লজ্জাজনক সত্য । এমন মন্তব্যের পর তারা হাততালি দিচ্ছিলেন, উল্লাস করছিলেন.. ! এটা কি কোনও সুশীল সমাজে বলা যায় ?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি এখনও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন । এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করার জন্য মামলাকারীদের আদালত প্রশ্রয় দিতে পারে না ।’’ তখন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন করেন, ‘‘একটা মামলা আর সব থানার গ্রেফতারের অধিকার আছে ?"
বিচারপতির নির্দেশ, নিম্ন আদালতের মামলার তথ্য-সহ রাজ্যকে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে । আগামী 3 অক্টোবরের মধ্যে জেল সুপারিনটেনডেন্টের মেডিক্যাল রিপোর্ট যুক্ত করে রাজ্য হলফনামা আকারে রিপোর্ট দেবে । পরবর্তী শুনানি 3 অক্টোবর দুপুর 2টায় ।