কলকাতা, 29 জুলাই: সার্ন প্রজেক্টে কাজ করা বিশ্বভারতীর অধ্যাপককে তাঁর পারিশ্রমিকের টাকা অবিলম্বে মেটানোর নির্দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে । নানা কারণে ওই অর্থ না-মেটানোয় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মানস মাইতি ।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মানস মাইতিকে প্রেস্টিজিয়াস সার্ন প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন ৷ তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই কাজের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ আগামী 9 অগস্টের মধ্যে ওই টাকা যাতে অধ্যাপকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বভারতী ও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে । যদি ওই দিনের মধ্যে টাকা না-পৌঁছয় তাহলে পরের শুনানিতে বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট অফিসারদের ভার্চুয়ালি এজলাসে হাজির হতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার ।
প্রসঙ্গত, মানসবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁকে কাজ করতে দেন না তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ সার্নের প্রকল্পে কাজের ডাক আসা সত্ত্বেও সেই কাজে যুক্ত হওয়ার অনুমতিও তাঁকে না-দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ওই অধ্যাপককে সার্ন প্রকল্পের কাজ থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তিনি চিঠিও লেখেন সার্ন কর্তৃপক্ষকে বলে অভিযোগ উঠেছিল । এ নিয়ে তখন তুমুল শোরগোল পড়ে যায় ।
একইসঙ্গে হাইকোর্ট ওই অধ্যাপকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় । এমনকী তিনি যাতে সার্ন প্রজেক্টে যুক্ত হতে পারেন, সেই পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেয় আদালত । কিন্তু এতদিনেও সেই জট পুরোপুরি কাটেনি । অধ্যাপক বিজ্ঞানীকে সার্নের প্রজেক্ট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে । তৎকালীন উপাচার্য শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে মানস মাইতিকে সাসপেন্ড করেছিলেন । তিনি যাতে সার্ন প্রজেক্টে কাজ না-করতে পারেন, তার জন্য ওই মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন ।
সব শুনে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে লিখেছিলেন, অবিলম্বে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ থেকে সরানো উচিত ।একইসঙ্গে, মানস মাইতি যাতে প্রজেক্টে কাজ করতে পারেন, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি ৷