কলকাতা, 29 নভেম্বর: জাতীয় সড়কের জন্য নেওয়া জমি দখল করে তৈরি হয়েছে পাকা বিল্ডিং। একাধিক দখলদারকে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে রাজ্যের পূর্ত দফতর। সেই দখলদারদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের দলীয় অফিসও। দখলদারদের তাড়নায় রীতিমতো বাড়িতে ঢোকা বন্ধ হয়েছিল এক ব্যক্তির ৷ শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি ৷ এই মামলায় তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদমুক্ত করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ৷
শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, তৃণমূল দলীয় অফিস-সহ যাবতীয় বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। আগামী 12 সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বসিরহাটের মাটিয়া থানায় এলাকার কাকড়া মৌজার এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনেই পূর্ত দফতরের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জমি তা দখল করে এখন বহু পাকা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে ৷ এই অবস্থায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বারবার এই বিষয়ে আবেদন করেও কাজ না হওয়ায় তিনি শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বসিরহাটের পূর্ত দফতরের তরফে হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টেও অভিযোগের ওই ব্যক্তির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করা হয় ৷ রিপোর্টে ওই ব্যক্তি যে ঠিক কথাই বলছেন, তাও উল্লেখ করা হয়। সেই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, ওই দখলদারদের মধ্যে তৃণমূলের দলীয় অফিসও রয়েছে। ওই রিপোর্ট দেখার পরেই বিচারপতি সিনহা তৃণমূল অফিস-সহ যাবতীয় দখল উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন।