ETV Bharat / state

ওএমআর-সার্ভার দুর্নীতির তদন্তে  বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য় নিতে পারে সিবিআই, নির্দেশ আদালতের - Primary Teachers Recruitment Scam - PRIMARY TEACHERS RECRUITMENT SCAM

Primary Teachers Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে শুক্রবার বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সিবিআইকে আদালতের নির্দেশ, ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে তদন্তকারীরা বিশ্বের যেকোনও প্রান্তের বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে পারবেন ৷

Primary Teachers Recruitment Scam
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের শেষ দেখতে সিবিআইকে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর নির্দেশ হাইকোর্টের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 5, 2024, 12:50 PM IST

Updated : Jul 5, 2024, 5:09 PM IST

কলকাতা, 5 জুলাই: 2014 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে এবার সিবিআইকে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন । বিচারপতির বক্তব্য, "পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই ।"

2014 সালের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর নিয়ে সন্দেহ মেটাতে সরকারি ও বেসরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নিতেও সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । আদালতের বক্তব্য, আইবিএম, উইপ্রো, টিসিএস বা যেকোনও বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিক সিবিআই । একই সঙ্গে সরকারি কোনও সংস্থার, এমনকি এথিক্যাল হ্যাকার, তিনি দেশের বাইরের হলেও তার সাহায্য নিতে পারবে সিবিআই । এই জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ।

এ দিন সিবিআইয়ের তরফে জমা পড়া ওএমআর সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি মান্থা । তারপরেই তিনি এই নির্দেশ দেন । আদালতে উপস্থিত সিবিআই অফিসারদের বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে একটা সরকারি সংস্থা, অন্য একটা বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিন ।’’

কারণ, টেকনিক্যাল ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে কোর্ট আইনি পদক্ষেপ করতে চাইছে না । প্রথম সার্ভারের কপি কতবার ট্রান্সফার হয়েছে ? তথ্য কি এডিট হয়েছে ? হলে কতবার ? এর সন্তোষজনক নিশ্চিত উত্তর পেতে চায় আদালত । সাত সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে ।

2014 সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । তাদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে ।

বিচারপতি মান্থার বক্তব্য ছিল, "ওই সব ওএমআর শিট স্ক্যান করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পর্ষদ । স্ক্যান করলে একটি হার্ড ডিস্কে, তা অবশ্যই থাকবে । সিবিআইয়ের কাছে কি সেই হার্ড ডিস্ক রয়েছে ? যদি হার্ড ডিস্কও নষ্ট করে দেওয়া হয়, তবে সেই বিষয়টিকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে । মেটাডেটা কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয় । এর ডিজিটাল ছাপ রয়েই যায় । যা মোছা যায় না ।”

কলকাতা, 5 জুলাই: 2014 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে এবার সিবিআইকে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন । বিচারপতির বক্তব্য, "পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই ।"

2014 সালের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর নিয়ে সন্দেহ মেটাতে সরকারি ও বেসরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নিতেও সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । আদালতের বক্তব্য, আইবিএম, উইপ্রো, টিসিএস বা যেকোনও বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিক সিবিআই । একই সঙ্গে সরকারি কোনও সংস্থার, এমনকি এথিক্যাল হ্যাকার, তিনি দেশের বাইরের হলেও তার সাহায্য নিতে পারবে সিবিআই । এই জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ।

এ দিন সিবিআইয়ের তরফে জমা পড়া ওএমআর সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি মান্থা । তারপরেই তিনি এই নির্দেশ দেন । আদালতে উপস্থিত সিবিআই অফিসারদের বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে একটা সরকারি সংস্থা, অন্য একটা বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিন ।’’

কারণ, টেকনিক্যাল ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে কোর্ট আইনি পদক্ষেপ করতে চাইছে না । প্রথম সার্ভারের কপি কতবার ট্রান্সফার হয়েছে ? তথ্য কি এডিট হয়েছে ? হলে কতবার ? এর সন্তোষজনক নিশ্চিত উত্তর পেতে চায় আদালত । সাত সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে ।

2014 সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । তাদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে ।

বিচারপতি মান্থার বক্তব্য ছিল, "ওই সব ওএমআর শিট স্ক্যান করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পর্ষদ । স্ক্যান করলে একটি হার্ড ডিস্কে, তা অবশ্যই থাকবে । সিবিআইয়ের কাছে কি সেই হার্ড ডিস্ক রয়েছে ? যদি হার্ড ডিস্কও নষ্ট করে দেওয়া হয়, তবে সেই বিষয়টিকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে । মেটাডেটা কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয় । এর ডিজিটাল ছাপ রয়েই যায় । যা মোছা যায় না ।”

Last Updated : Jul 5, 2024, 5:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.