কলকাতা, 13 মার্চ: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের টাকার উৎস কী, জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ তিনি ইডির কাছে জানতে চান, "আপনারা কি টাকার সোর্স পেয়েছেন ?"
উত্তরে ইডি জানায়, "প্রতিটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে । অনেক অ্যাটাচমেন্ট করা হয়েছে । ইডি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম পেয়েছে ।" বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘দ্রুত কি তদন্ত শেষ হবে ?’’ ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "শুরু হয়েছে স্কুল সার্ভিস থেকে, তারপর পৌরসভা, রেশনে দুর্নীতি হয়েছে । প্যান্ডোরার বাক্স । সময় লাগবে ।"
উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতেই ইডির তরফে জানানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানির আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে । সেগুলো বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে । এই সংক্রান্ত নথি তারা তাদের দিল্লির কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠিয়েছে । শীঘ্রই রিপোর্ট দেওয়া হবে আদালতে । ইডিকে এর আগের শুনানিতে এই নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল আদালত ৷ কিন্তু এ দিন ইডি আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি ৷ এই নিয়ে অতিরিক্ত সময় কেন, লাগছে সেটাও জানায় ইডি ৷
অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পল নিয়ে প্রশ্ন করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা । এ দিন বিচারপতি সিনহা বলেন, "শেষবার আপনাদের অ্যাটাচমেন্ট কিছু ছিল না ! কোর্ট বলার পর করেছিলেন ? ভয়েস স্যাম্পলের রিপোর্ট কী হল ? এখনও আসেনি ? কতদিন সময় লাগবে আসতে ? দু’মাস পার হয়ে গেল । সিএফএসএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন । এগুলি খুব দরকার, যদি কিছু করতে চান । না হলে স্যাম্পল নিয়ে কী লাভ ?’’ ইডি অবশ্য পরের শুনানিতে এই বিষয়ে জানাবে বলে এ দিন আদালতে জানিয়েছে ।
বিচারপতি মামলাকারীদের কাছে জানতে চান, ডিভিশন বেঞ্চে কিছু বিচারাধীন আছে কি না । আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, হ্যাঁ রয়েছে । 2016 সালের প্রাথমিক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন । সেটা বিচারাধীন আছে। এর পর বিচারপতি জানান, এতে তদন্তের কোনও সমস্যা হবে না ইডির ৷
উল্লেখ্য, কালীঘাটে কন্ঠস্বরের নমুনা প্রদান করা নিয়ে অনেক টালবাহানা হয় ৷ তার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশেই কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে ইডি । কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি । এ নিয়েই এ দিন মৃদু ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: