কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: 2016 সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ । মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ, শুক্রবার একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চের তরফে এই পর্যেবক্ষণ দেওয়া হয়েছে ।
2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত চাকরি প্রার্থী সৌমিতা সরকার-সহ 75 জন মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী অবশ্য এই বিষয়ে আদালতে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন । তিনি আদালতে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের টেট নম্বর বারবার পুনর্মূল্যায়ন করেছে, তার তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ৷ চাকরি প্রার্থীদের টেটের নম্বর কত, সেটাই তাঁদের জানানো হয়নি । কোনও ওএমআর প্রকাশিত হয়নি । তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন স্বচ্ছ নয়, সেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ কিভাবে সম্ভব ? সেই কারণে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ।
অন্যদিকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে, সেখানে আপনি যদি সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে ৷ আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান, তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে ।" উল্লেখ্য, সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ রয়েছে বেশিরভাগ মামলাতেই ।
তখন বিচারপতি বলেন, "কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় 13 হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব ?" কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ৷ তবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, "শুরু করা যেতে পারে সুপারিশপত্র দেওয়ার কাজ ।"
পাশাপাশি এই মামলায় মামলাকারির সংখ্যা কত, সেটাও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে । আগামী 28 ফেব্রুয়ারি দুপুর 2টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: