ETV Bharat / state

নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ-খুন, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের - নাবালিকা ধর্ষণ

Calcutta High Court: নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের ৷ পাশাপাশি আগামি 6 মার্চ কেস ডাইরি আদালতে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 9, 2024, 10:06 PM IST

কলকাতা, 9ফেব্রুয়ারি: অপহরণ করে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও ইনকোয়েস্ট রিপোর্টের মধ্যে ফারাক। এমতাবস্থায় দেহের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়না তদন্ত করাতে হবে। 6 মার্চ কেস ডাইরি আদালতে হাজির করতে হবে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ঘটনাটি ঘটে ৷ মুর্শিদাবাদের হরিহরপড়া থানা এলাকায় বাবা ও নাবালক ছেলে বিরুদ্ধে 13 বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য তাকে নৃশংসভাবে খুনও করা হয় । চোখ খুবলে তুলে নেওয়া থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলে । ধর্ষণের পর অ্যাসিড ঢেলে দেহ পোড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত হয়। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টে সেই সব কিছুই স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই। মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ময়না তদন্তে । এমনটাই দাবি মামলাকারির আইনজীবী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 302 ধারা ও পকসোর বিভিন্ন ধারা যুক্ত করারও আবেদন জানান তিনি। প্রসঙ্গত, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই রমকই আরও একটি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এমনই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী তন্ময় বসু বলেন, "ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্য নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয় মেয়েটিকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট করা হয়েছে। অথচ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। মেয়েটির গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। চোখদুটো উপড়ে ফেলা হয়েছে। অথচ ঘটনাটি লঘু করার চেষ্টা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এই নারকীয় ঘটনা শোনার পর বিচারপতি পর্যন্ত স্তম্ভিত হয়ে যান । এরপরই কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। "
আরও পড়ুন:

  1. টাকার বিনিময়ে সদ্যজাত বদলের অভিযোগ, উত্তাল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ
  2. বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই নাবালক, এলাকায় উত্তেজনা
  3. ফেরিঘাটের দখল ঘিরে বোমাবাজি! তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত কাশিমনগর

কলকাতা, 9ফেব্রুয়ারি: অপহরণ করে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও ইনকোয়েস্ট রিপোর্টের মধ্যে ফারাক। এমতাবস্থায় দেহের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়না তদন্ত করাতে হবে। 6 মার্চ কেস ডাইরি আদালতে হাজির করতে হবে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ঘটনাটি ঘটে ৷ মুর্শিদাবাদের হরিহরপড়া থানা এলাকায় বাবা ও নাবালক ছেলে বিরুদ্ধে 13 বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য তাকে নৃশংসভাবে খুনও করা হয় । চোখ খুবলে তুলে নেওয়া থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন মেলে । ধর্ষণের পর অ্যাসিড ঢেলে দেহ পোড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত হয়। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টে সেই সব কিছুই স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই। মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ময়না তদন্তে । এমনটাই দাবি মামলাকারির আইনজীবী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 302 ধারা ও পকসোর বিভিন্ন ধারা যুক্ত করারও আবেদন জানান তিনি। প্রসঙ্গত, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই রমকই আরও একটি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এমনই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী তন্ময় বসু বলেন, "ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্য নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয় মেয়েটিকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট করা হয়েছে। অথচ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। মেয়েটির গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। চোখদুটো উপড়ে ফেলা হয়েছে। অথচ ঘটনাটি লঘু করার চেষ্টা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এই নারকীয় ঘটনা শোনার পর বিচারপতি পর্যন্ত স্তম্ভিত হয়ে যান । এরপরই কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। "
আরও পড়ুন:

  1. টাকার বিনিময়ে সদ্যজাত বদলের অভিযোগ, উত্তাল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ
  2. বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই নাবালক, এলাকায় উত্তেজনা
  3. ফেরিঘাটের দখল ঘিরে বোমাবাজি! তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত কাশিমনগর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.