ETV Bharat / state

বর্ধমান মেডিক্যালের 7 পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ হাইকোর্টের - BURDWAN MEDICAL COLLEGE

ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ থেকে স্বস্তি পড়ুয়াদের ৷ কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে নস্যাৎ করে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 8, 2024, 3:21 PM IST

Updated : Nov 8, 2024, 3:55 PM IST

কলকাতা, 8 নভেম্বর: অবশেষে স্বস্তি পেলেন বর্ধমান মেডিক্যালের 7 পড়ুয়া ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তাঁরা ক্লাসে ফিরতে পারবেন ৷ শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশ দেন ৷ ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ৷ সেই কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই সাতজন পড়ুয়াকে কলেজ এবং কলেজ হোস্টেলে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল ।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঈশা পাল-সহ মোট সাতজন পড়ুয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । আবেদনকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র ছাত্রীদের তরফে বলেন, "একটা কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে ? এটা করতে হলে তো একটা নির্দিষ্ট অ্যাডভাইসারি কমিটি দরকার । সেটা না করেই কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে কলেজ ?" এই বক্তব্যের সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের কিছু জাজমেন্টও তুলে ধরেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

তাঁর কথায়, "কাউন্সিলের প্রস্তাব ঠিক ছিল কী না সেটা দেখতে হবে । র‍্যাগিংয়ের চার্জ কী ? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না ? অভিযোগ কোথায় ? পাঁচ বছর আগের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে কি এখন পদক্ষেপ নেওয়া যায় ? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ? তাঁরা ঠিক কী করেছেন ? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।"

সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ওই সাতজন পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবেন এবং কোনও বাধা এলে তারা পুলিশের সহায়তাও নিতে পারেন । আগামী 11 নভেম্বর সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

প্রসঙ্গত, 11 অক্টোবর কলেজের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এই সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ যদিও ব়্যাগিংয়ের ঘটনা প্রমাণের সাপেক্ষে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ৷ তাতেই বিচারপতি আজ তাদের সাসপেনশন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দেন ৷

কলকাতা, 8 নভেম্বর: অবশেষে স্বস্তি পেলেন বর্ধমান মেডিক্যালের 7 পড়ুয়া ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তাঁরা ক্লাসে ফিরতে পারবেন ৷ শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশ দেন ৷ ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ৷ সেই কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই সাতজন পড়ুয়াকে কলেজ এবং কলেজ হোস্টেলে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল ।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঈশা পাল-সহ মোট সাতজন পড়ুয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । আবেদনকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র ছাত্রীদের তরফে বলেন, "একটা কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে ? এটা করতে হলে তো একটা নির্দিষ্ট অ্যাডভাইসারি কমিটি দরকার । সেটা না করেই কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে কলেজ ?" এই বক্তব্যের সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের কিছু জাজমেন্টও তুলে ধরেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

তাঁর কথায়, "কাউন্সিলের প্রস্তাব ঠিক ছিল কী না সেটা দেখতে হবে । র‍্যাগিংয়ের চার্জ কী ? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না ? অভিযোগ কোথায় ? পাঁচ বছর আগের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে কি এখন পদক্ষেপ নেওয়া যায় ? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ? তাঁরা ঠিক কী করেছেন ? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।"

সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ওই সাতজন পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবেন এবং কোনও বাধা এলে তারা পুলিশের সহায়তাও নিতে পারেন । আগামী 11 নভেম্বর সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

প্রসঙ্গত, 11 অক্টোবর কলেজের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এই সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ যদিও ব়্যাগিংয়ের ঘটনা প্রমাণের সাপেক্ষে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ৷ তাতেই বিচারপতি আজ তাদের সাসপেনশন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দেন ৷

Last Updated : Nov 8, 2024, 3:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.