কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: পূর্ব মেদিনীপুরের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম-সহ অন্য বিরোধী দলের প্রধান পদপ্রার্থীকে বোর্ড গঠনের আগের রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেই ঘটনার মামলায় বোর্ড গঠনের দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ-সহ তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে ডেকে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আগামী বুধবার ফুটেজ নিয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিককে ৷
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধীদের প্রধান পদপ্রার্থীকে 11 অগস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুরো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ আর 12 অগস্ট পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীকে প্রধান পদে নির্বাচিত করা হয় ৷ উল্লেখ্য, শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 23টি আসন রয়েছে ৷ যার 12টি আসনে বিরোধী সিপিআইএম প্রার্থীরা জয়ী হন ৷ আর 11টি আসনে জেতেন তৃণমূলের প্রার্থীরা ৷
এই পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষিত ৷ ফলে জয়ী সিপিআইএম-এর তরফে ওবিসি হিসেবে পঞ্চায়েত প্রধান পদপ্রার্থী ছিলেন আব্দুল জব্বার ৷ কিন্তু, বোর্ড গঠনের আগের রাতে তাঁকে পুলিশ পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করে ৷ আর ফলে ওবিসি ক্যাটাগরিতে তৃণমূলের জয়ী সদস্য় পঞ্চায়েত প্রধান হন ৷ পরবর্তী সময়ে সিপিআইএম-এর সদস্যকে ছেড়ে দেয় পুলিশ ৷
যা নিয়ে সিপিআইএম নেতৃত্ব কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা করে ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, পুরনো ওই মামলায় আব্দুল জব্বারের গ্রেফতারি প্রয়োজন ছিল না ৷ তাঁর পঞ্চায়েত প্রধান হওয়া রুখতে শাসকশিবির এই কাজ করিয়েছে ৷ সেই মামলায় বিচারপতি সিনহা নতুন করে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের নির্দেশ দেন ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে তৃণমূলের 11 জন সদস্য ৷
আজ সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ, বোর্ডগঠন ও প্রধান নির্বাচনের সিডি ও কেস ডায়রি-সহ তদন্তকারী আধিকারিককে আগামী বুধবার হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ যদিও, রাজ্যের আইনজীবী একসপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন ৷ যা শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মন্তব্য করেন, "আদালত চাইলে দুপুরের মধ্যে সিডি আনাতে পারে ৷"
সিপিআইএমের 12 সদস্যের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতারের কোনও প্রয়োজন ছিল না ৷ শাসকদলের প্রতিনিধিকে প্রধান করার জন্যই, তাঁকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷"