কলকাতা, 31 জানুয়ারি: ফের একবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টের । গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ থাকলেও পুলিশ 302 ধারায় খুনের মামলা রুজুই করেনি বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ । এই খুনের মামলার পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ধারা রুজু করে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।
খাস কলকাতার আমাহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা 36 বছরের শালিনী মিত্র তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাবার দেওয়া ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। গত 24 নভেম্বর শালিনী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনার পর পরিবার অভিযোগ তোলে তাঁদের মেয়ের গায়ে ইচ্ছাকৃত আগুন লাগিয়ে দিয়েছে জামাই । যে সময় আগুন লাগে সেই সময় তাঁর স্বামী মেয়েটির দিদিকে ভিডিয়ো কল করে দেখায় মেয়েটি পুড়ে যাচ্ছে। একবারের জন্যও তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি অভিযুক্ত। বোনকে এভাবে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখে তড়িঘড়ি দিদি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ গত 5 ডিসেম্বর মারা যান শালিনী।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তোর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে । পরে অভিযোগ নিলেও পণের দাবিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শালিনীর পরিবার । বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানিতে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এই ঘটনায় খুনের ধারা রুজু করেনি পুলিশ । পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে মৃত গৃহবধূর পরিবার ।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ 302 ধারা যোগ করতে হবে ৷ পাশাপাশি 201 ধারায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা যোগ করে তদন্ত করবে সিআইডি ।
আরও পড়ুন :