কলকাতা, 25 জানুয়ারি: মেডিক্যাল কলেজে ভরতিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই এফআইআর খারিজ করে দেয়। জানা গিয়েছে, অবিলম্বে আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে। আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করে দিয়েছে। এ কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠাল ? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে ।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রার্থী হিসেবে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে গতকাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের উপর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করে। কিন্তু তারপরও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলার নথি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সিবিআইকে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন । এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ।
উল্লেখ্য মেডিক্যাল নিট-এ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কিছু ছাত্রছাত্রী সংরক্ষিত কোটায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা ইতিশা সরেন। 2023 সালের নিট দিয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান ইতিশ । প্রায় 27 জনের নামে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন দখলের অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর দাবি যোগ্য প্রার্থী হয়েও তাঁকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।
সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, "সিনহা, ভৌমিক, মণ্ডল, বড়ুয়া - এঁরা কি সত্যি সংরক্ষিত কোটায় পড়েন ?" পাশাপাশি অভিযুক্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রীর নাম, ঠিকানা ও জাতিগত শংসাপত্র হলফনামা আকারে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি । এছাড়াও মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, অভিযোগ ভিত্তিহীন হতেই পারে ৷ কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন তদন্ত করেনি বোর্ড । তারপরই তিনি গতকাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন । যদিও আজ সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন :