কলকাতা, 15 মে: বিজেপি'র আইটি সেলের জাতীয় আহ্বায়ক অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্য পরবর্তী শুনানির দিন একটি সিডি আদালতে জমা করবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য রিপোর্ট আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী 19 জুন ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
আগেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে 48 ঘন্টা আগে নোটিশ দিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যেম জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলেও জানিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশই আপাতত বহাল থাকছে। এর আগে গত 22 মার্চ এই মামলায় আদালতে স্বস্তি পেয়েছিলেন অমিত মালব্য। নির্দেশে বলা হয়, মামলাকারীকে প্রয়োজনে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বহরমপুর থানা।
অমিত মালব্যকে 41-এ নোটিশ দিয়েছিল পুলিশ ৷ তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি আইটি সেলের জাতীয় কনভেনর। অমিত মালব্যের আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, মামলাকারী দিল্লির বাসিন্দা। ভারতীয় জনতা পার্টির পদাধিকারী। 8 ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের হয় বহরমপুর থানায় অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে। বহরমপুরে একাধিক সরস্বতী মূর্তি ভাঙা হয়েছে বলে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেছিলেন।
তার ভিত্তিতেই মামলা শুরু হয়। 16 তারিখ তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু 16 তারিখের পর তাঁর কাছে নোটিশ আসে। সুপ্রিমকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, 24 ঘন্টার মধ্যে এফআইআর ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয়। সেটা করা হয়নি। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হলেও থানা সম্মতি দেয়নি।
এরপরই বিচারপতি জানতে চান, রাজ্যের কী বক্তব্য ? রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন জানান, মামলাকারীর এই আবেদন গ্রহনযোগ্যই নয়। দেরি করে হলেও উনি তো, নোটিশ পেয়েছেন। উনি তো আসতেই পারতেন। হাজিরা দেননি কেন ? বিচারপতি পালটা প্রশ্ন ছুড়ে জিজ্ঞেস করেন, "কবে আসতেন ? হাজিরার তারিখ না-জানলে ?" যদিও রাজ্যের তরফে আইনজীবী তেমন কিছু না-বলায় বিচারপতি শেষে নির্দেশ দেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের 48 ঘন্টা আগে নোটিশ দিতে হবে। ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে।
সোশাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগে অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। তারপরেই তাঁকে বহরমপুর থানার তরফ থেকে পাঠানো হয় 41-এ নোটিশ। এরপরই পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে, ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: