ETV Bharat / state

উপযুক্ত সম্মান না পেলে আর অফিসে না বসার হুঁশিয়ারি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের - Burdwan University

Burdwan University: উপযুক্ত সম্মান না পেলে আর উপাচার্যের ঘরে বসবেন না, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র ৷ তাঁর বক্তব্য, উপাচার্য হিসেবে তাঁর তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভদ্র ব্যবহার পাওয়া উচিত ।

Burdwan University
উপযুক্ত সম্মান না পেলে আর অফিসে না বসার হুঁশিয়ারি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 17, 2024, 4:59 PM IST

বর্ধমান, 17 অগস্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে বিভিন্নভাবে তাঁকে অপমান করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা লেখা হয়েছে । উপাচার্য হিসেবে তাঁর তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভদ্র ব্যবহার পাওয়া উচিত । ফলে যতদিন না তাঁকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তিনি উপাচার্যের অফিসে যাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজ্যপাল নিয়োগ করায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন, কিংবা ওয়েবকুপা বা তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন মাঝেমধ্যেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করে । চলতি স্বাধীনতা দিবসের দিনদুয়েক আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পাঁচ জন ছাত্র ও বহিরাগত 40-50 জন উপাচার্যের ঘরে ঢুকে হেনস্থা করে । বাধ্য হয়ে তাঁকে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয় ।

Burdwan University
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র (নিজস্ব চিত্র)

চলতি বছরের গত জুলাই মাসেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মচারী সংগঠনের বিরুদ্ধে । উপাচার্যের সঙ্গে ঘেরাও করা হয় রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীকেও । সমস্ত কিছু নিয়েই রীতিমতো বিরক্ত উপাচার্য । এর প্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয় । অরাজকতা নয় ।’’

তাঁর আরও বক্তব্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভদ্রভাবে অফিসে আসবেন, আবার ভদ্রভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন । তাঁর একটা পরিবার আছে । তাঁর গেটে তালা লাগানোর অধিকার কারও নেই । তিনি প্রবেশের সময় কিংবা বের হওয়ার সময় তালা ঝোলানো । এই উৎশৃঙ্খলা ।

Burdwan University
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (নিজস্ব চিত্র)

তাঁকে হেনস্তা করা নিয়ে গৌতম চন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পাঁচ জন ছাত্র ও প্রায় 40-50 জন বহিরাগত উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব করেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড়শো জন গার্ড আছেন । তাঁরা কেউ কিছু জানলেন না, তাঁদের কি সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল না ? রেজিস্ট্রার কেন ফোন করে পুলিশ ডাকলেন না ? কেন উপাচার্যকে পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে হয়েছে ? এটা সবারই লজ্জা ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল আমি উপাচার্যের অফিসে যাইনি । যাব না । যতদিন না ভদ্রভাবে উপাচার্যের অফিসে ঢুকতে বের হতে পারব, ততদিন যাব না । উপাচার্যের যে বাংলোতে থাকি, সেখানে ভাড়া দিয়ে থাকি । নীলবাতি গাড়িতে আমি চড়ছি না । ভাইস চ্যান্সেলরের ভাতা আমি নিই না । তাই আর ফাইলেও সই করব না ।’’

বর্ধমান, 17 অগস্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে বিভিন্নভাবে তাঁকে অপমান করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা লেখা হয়েছে । উপাচার্য হিসেবে তাঁর তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভদ্র ব্যবহার পাওয়া উচিত । ফলে যতদিন না তাঁকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তিনি উপাচার্যের অফিসে যাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজ্যপাল নিয়োগ করায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন, কিংবা ওয়েবকুপা বা তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন মাঝেমধ্যেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করে । চলতি স্বাধীনতা দিবসের দিনদুয়েক আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পাঁচ জন ছাত্র ও বহিরাগত 40-50 জন উপাচার্যের ঘরে ঢুকে হেনস্থা করে । বাধ্য হয়ে তাঁকে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয় ।

Burdwan University
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র (নিজস্ব চিত্র)

চলতি বছরের গত জুলাই মাসেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মচারী সংগঠনের বিরুদ্ধে । উপাচার্যের সঙ্গে ঘেরাও করা হয় রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীকেও । সমস্ত কিছু নিয়েই রীতিমতো বিরক্ত উপাচার্য । এর প্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. গৌতম চন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয় । অরাজকতা নয় ।’’

তাঁর আরও বক্তব্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভদ্রভাবে অফিসে আসবেন, আবার ভদ্রভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন । তাঁর একটা পরিবার আছে । তাঁর গেটে তালা লাগানোর অধিকার কারও নেই । তিনি প্রবেশের সময় কিংবা বের হওয়ার সময় তালা ঝোলানো । এই উৎশৃঙ্খলা ।

Burdwan University
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (নিজস্ব চিত্র)

তাঁকে হেনস্তা করা নিয়ে গৌতম চন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পাঁচ জন ছাত্র ও প্রায় 40-50 জন বহিরাগত উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব করেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড়শো জন গার্ড আছেন । তাঁরা কেউ কিছু জানলেন না, তাঁদের কি সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল না ? রেজিস্ট্রার কেন ফোন করে পুলিশ ডাকলেন না ? কেন উপাচার্যকে পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে হয়েছে ? এটা সবারই লজ্জা ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল আমি উপাচার্যের অফিসে যাইনি । যাব না । যতদিন না ভদ্রভাবে উপাচার্যের অফিসে ঢুকতে বের হতে পারব, ততদিন যাব না । উপাচার্যের যে বাংলোতে থাকি, সেখানে ভাড়া দিয়ে থাকি । নীলবাতি গাড়িতে আমি চড়ছি না । ভাইস চ্যান্সেলরের ভাতা আমি নিই না । তাই আর ফাইলেও সই করব না ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.