কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: ইলিশ মাছ ও ত্বকের ক্রিম পাচার রুখে দিল বিএসএফ ৷ ফিশ পিন বা মাছের ডিম পাচারের খবর প্রায়শ্যই শোনা যায় । বহুক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকার মাছের ডিম পাচার রুখেছে বিএসএফ । তবে বস্তাভর্তি ইলিশ মাছ পাচার সাধারণত শোনা যায় না । বৃহস্পতিবার সেই ঘটনাই ঘটল উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে । ইলিশ মাছ, ফেনসিডিল, গোমেলা ক্রিম, ক্লপ জি ক্রিম বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ । সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মূল্য প্রায় 12 লক্ষ 88 হাজার 325 টাকা ।
সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কয়েকটি চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বিএসএফ ৷ সেই অভিযান থেকেই 490 বোতল ফেনসিডিল, 30 কেজি ইলিশ মাছ, 1700 গোমেলা ক্রিমের ইউনিট এবং ক্লপ জি ক্রিমের 260 ইউনিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিএসএফের 102 ব্যাটালিয়ন বর্ডার পোস্ট ঘোজাডাঙ্গার জওয়ানরা গোপন সূত্রে ইলিশ মাছ পাচারের খবর পান ।
জানা গিয়েছে, এই খবর পাওয়ার পর জওয়ানরা তাৎক্ষণাৎ সন্দেহজনক এলাকার দিকে এগোন । জওয়ানদের দেখে চোরাকারবারীরা ঘন জঙ্গল, কলা বাগানের সুযোগ নিয়ে ভারতের দিক থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । তবে তারা চারটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে যায় । যাতে মোট 30 কেজি ইলিশ মাছ ছিল । এছাড়া একই দিনে অন্যান্য ঘটনায় ঘোজাডাঙ্গার 102 ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা 490টি ফেনসিডিল বোতল এবং 143তম ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ফাঁড়ি হাকিমপুরের জওয়ানরা 1700 গোমেলা ক্রিম ও 260টি ক্লপ জি ক্রিম বাজেয়াপ্ত করেছে । এই সব বাজেয়াপ্ত সামগ্রী পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, "ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানের মতো অপরাধ বন্ধে বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত কাজ করছেন ৷ তাই এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের দিনের পর দিন গ্রেফতার করা হচ্ছে । বারবার তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হচ্ছে ৷ কোনও চোরাকারবারীকে ছেড়ে দেওয়া হবে না । প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"