কলকাতা, 30 জানুয়ারি: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারের একটি সভাতেই বিএসএফের বিরুদ্ধে অত্যাচারেরও অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে মমতার দাবি, সীমান্তে আলাদা পরিচয় পত্র দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমতার এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, "বিএসএফ কোনও আইডেন্টিটি কার্ড ইস্যু করে না।"
শুধু তাই নয় ৷ ভোটের লাইনে বিএসএফের পরিচয় পত্র প্রদানের অভিযোগ তুলে এনআরসি'র বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিএসএফের দেওয়া কোনও কার্ড যদি স্থানীয় মানুষ গ্রহণ করে তাহলে তিনি এনআরসি-র আওতাভুক্ত হবেন বলে সাবধানবাণী শুনিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এমনকী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও সরকারি সুবিধা পাবেন না বলেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা বিএসএফের বক্তব্য, তারা এনআরসি কন্ডাক্ট করে না। অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করেছেন বিএসএফকে নিয়ে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ বিষয়টির স্বপক্ষে বিএসএফের তরফে আরও বলা হয়েছে, "বিএসএফ পেশাদারী সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী মাত্র। যারা ভারত বাংলাদেশ এবং ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত সুরক্ষার কাজে 24 ঘন্টা নিযুক্ত থাকে।"
এদিকে মঙ্গলবার সকালেই এনআরসি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এনআরসি নিয়ে যে রাজনৈতিক তরজা চলছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষ যে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, "মানুষের অধিকার আছে তাদের নিজের কথা, উদ্বেগের কথা বলার। সরকারি স্তরে, জাতীয়স্তরে যা ঘটছে তা নিয়েও সাধারণের মতামত প্রকাশ করার অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র নিজের পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই পারে।"
আরও পড়ুন: