কলকাতা, 28 এপ্রিল: বাংলাদেশি মেয়েকে তাঁর মৃত বাবাকে দেখার শেষ সুযোগ করে দিল বিএসএফ ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনে মৃত বাবাকে শেষবারের মতো দেখলেন তাঁর মেয়ে ৷ নদিয়ার পুট্টিখালি সীমান্তের ঘটনা এটি ৷ আর এই ঘটনা ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আন্তরিকতার আরও এক নজির স্থাপন করেছে ৷
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, নদিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম নালুপুরের বাসিন্দা লিপি বিবি পুট্টিখালি বিএসএফের 4 নম্বর ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের কাছে যান ৷ তিনি আধাসেনার ওই আধিকারিককে জানান, নালুপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুল মণ্ডল গতকাল রাতে মারা গিয়েছেন ৷ তাঁর মেয়ে এবং আত্মীয়রা বাংলাদেশের মেদিনীপুর গ্রামে থাকেন ৷ তাঁরা মাহাবুল মণ্ডলকে শেষবারের মতো দেখতে চান ৷ তাই তিনি বিএসএফকে অনুরোধ করেন যাতে, মেয়ে এবং আত্মীয়দের মাহাবুল মণ্ডলকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিতে ৷
তাঁদের অনুরোধ শোনার পর, কোম্পানি কমান্ডার মানবিকতার খাতিরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ বিএসএফের অনুরোধে বিজিবিও মানবিক দিক বিবেচনা করে সম্মতি দেয় ৷ এরপর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে নাগরিক মাহাবুল মণ্ডলের মেয়ে এবং তাঁর আত্মীয়দের আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইনে নিয়ে যায় ৷ সেখানেই মাহাবুল মণ্ডলকে শেষবারের মতো দেখার ব্যবস্থা করা হয় ৷
এনিয়ে বিএসএফ জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত এ কে আর্য বলেন, "সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি বাহিনী সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ বিএসএফ জওয়ানরা চোখের পলক না ফেলে দিনরাত সীমান্তে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন ৷ তবে, এটাই শুধু তাঁদের একমাত্র কাজ নয় ৷ সীমান্তের বাসিন্দাদের মানবিক ও সামাজিক কল্যাণের কথাও চিন্তা করেন তাঁরা ৷ বিএসএফ সর্বদা অসৎ উদ্দেশ্যের লোকজনের বিরুদ্ধে ৷ তবে, বিএসএফ মানবতা ও মূল্যবোধ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷"
আরও পড়ুন: