কলকাতা, 22 জুলাই: বাংলাদেশে চলমান ছাত্র বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের 1208 জন পড়ুয়াকে ঘরে ফেরানো হচ্ছে ৷ এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বিএসএফ । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আইসিটি পেট্রাপোল এলসিএস ঘোজাডাঙ্গা এলপিএস গেদে এবং এলসিএস মহাদীপুর সীমান্ত পথ দিয়ে এই হাজারের বেশি পড়ুয়াকে এখনও পর্যন্ত ভারতে ফেরানো হয়েছে । বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই সমস্ত পড়ুয়াকে নিরাপদে এদেশে ফেরানোর পাশাপাশি আপাতত থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট স্থানে । ধাপে ধাপে তাদের দেশে ফেরানো হবে।
বিএসএফ সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান ছাত্র আন্দোলনের জেরে হিংসা ও অগ্নিসংযোগের সাক্ষী ঘটনা ঘটছে । পড়শী দেশের সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে । এই অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত অনেক ভারতীয়, নেপালি ও ভুটানি শিক্ষার্থীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে । বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এই ছাত্রদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে আইসিপি পেট্রাপোল, এলসিএস গেদে, ঘোজাডাঙ্গা এবং মাহাদিপুরে বিশেষ সাহায্য ডেস্ক স্থাপন করেছে । এ পর্যন্ত, বিএসএফ সফলভাবে 1045 ভারতীয় ছাত্রছাত্রী, 152 নেপালি পড়ুয়া এবং 4 ভুটানি ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে ৷
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিকা তথা ডিআইজি একে আর্য জানিয়েছেননিশ্চিত করেছেন যে, বিএসএফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছে । এই সমন্বয় রাত্রিকালীন অভিযানের সময়ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানান্তর নিশ্চিত করেছে । প্রক্রিয়াটির কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর জন্য, আইসিপি পিপেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন ডেস্ক এখন সারাক্ষণ খোলা থাকবে । বাড়িতে ফিরে আসা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ স্থান নিশ্চিত করবে বিএসএফ।
সঙ্কটের সময়, বিএসএফ এবং বিজিবি কার্যকরভাবে দু'দেশের বাসিন্দাদের নিরাপদে যাতায়াত পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতি বজায় রাখছে । সমস্ত এলসিএস এবং আইসিপি পেট্রাপোল অবস্থানের ঊর্ধ্বতন বিএসএফ অফিসাররা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন ।
ঘরে ফেরা শিক্ষার্থীদের যে কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ বা সমস্যা সমাধানের জন্য মেডিকেল সহায়তা ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে । তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সংশোধন করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষ ডেস্ক করা হয়েছে।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গর জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি বলেন, বিএসএফ, বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে । প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিরাপদে ঘরে ফেরানো নিশ্চিত করতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে । বিএসএফ-এর নিরলস প্রচেষ্টা এবং তাদের উচ্চ-সতর্ক অবস্থা মসৃণ এবং দক্ষ ভাবে ঘরে ফেরানো প্রক্রিয়াতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।