কলকাতা, 4 এপ্রিল: ওয়াটগঞ্জে খুন হওয়া মহিলার দেহ শনাক্ত করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ মহিলার নাম দুর্গা সরখেল । তিনি ওয়াটগঞ্জের খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । গত 3-4 দিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে । ইতিমধ্যেই থানায় একটি নিখোঁজ মামলাও হয়েছিল বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে দাবি করেছে । ওই মহিলাকে প্রথমে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় মেরে হত্যা করা হয় ৷ তারপরে দেহটি খণ্ড করে বিভিন্ন প্লাস্টিকে মুড়ে ওই জায়গায় ফেলে রাখা হয় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
এই ঘটনায় মহিলার দেওরকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে ওয়াটগঞ্জ থানায় । সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । তবে মহিলার বাকি দেহাংশগুলি বর্তমানে কোথায় রয়েছে তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা । খুব সম্ভবত সম্পর্কে টানাপোড়নের জেরেই দেওর তাঁকে খুন করেছে বলে অনুমান করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । ইতিমধ্যেই ওই মহিলার বাড়িতে পৌঁছেছে পুলিশ ।
মঙ্গলবার দুপুরবেলা ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার ডক্টর লেনের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহাংশ । এলাকার বাসিন্দারা দেখেন কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো রয়েছে দেহাংশগুলি ৷ পুলিশের অনুমান ওই মহিলাকে মাথা ঠান্ডা করে খুন করা হয় ৷ প্রতিহিংসাজনিত কারণের জন্যই ঠান্ডা মাথায় মহিলার দেহ একাধিক ভাগ করে সেগুলি কালো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ওই জায়গায় ফেলা হয়েছে ।
এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "মহিলার দেহাংশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ পরে ওই এলাকায় পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে গোটা বিষয়টি সামনে এসেছে ।"
আরও পড়ুন :