কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই মঙ্গলবার সন্দেশখালি পরিদর্শনে গেলেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত ৷ ধামাখালি থেকে নৌকায় নদীপথ পেরিয়ে টোটো করে সন্দেশখালির উত্তপ্ত গ্রামগুলিতে প্রবেশ করেন বৃন্দা কারাত। যদিও আদালতের নির্দেশের পরেও শুভেন্দু অধিকারীর মতোই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বর্ষীয়ান নেত্রীকে ৷ সেই বাধা পেরিয়েই এদিন শেখ শাহজাহানের গড়ে ঢোকেন বৃন্দা কারাত, অঞ্জু কর, রেখা গোস্বামী-সহ বামেদের মহিলা প্রতিনিধি দল।
সন্দেশখালি ঢোকার মুখে এদিন পুলিশ মহিলা প্রতিনিধি দলের পথ আটকালে কারণ জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সঠিক কোনও কারণ দেখাতে পারেনি বলেই দাবি প্রতিনিধি দলের সদস্যাদের। দীর্ঘক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর বৃন্দা কারাত নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের তরফে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরই পিছু হটে ব্যারিকেড সরিয়ে মহিলা প্রতিনিধি দলকে যেতে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরপর ধামাখালি থেকে নৌকা হয়ে টোটোয় চেপে গন্তব্যে পৌঁছন বৃন্দা ও অন্যান্যরা ৷ কথা বলেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশের সঙ্গে।
নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার পর বৃন্দা কারাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হন ৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, "মহিলারা যখন বলে দিচ্ছেন তাদের সাথে কী হয়েছে তখন ঘরে বসে আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কী করে বলতে পারেন যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ৷ নিজের দলের লোককে বাঁচানোর জন্য আপনি ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন, তাহলে পালটা একথাও আমরা বলতে পারি সত্যকে চাপা দিতে মহিলাদের কন্ঠরোধ করতে আপনি চক্রান্ত করছেন।"
একইসঙ্গে সন্দেশখালি ঘটনার সঙ্গে হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডেরও তুলনা টানেন বৃন্দা ৷ প্রকাশ-পত্নী বলেন, "তৃণমূলের সরকার আজ যা করছে হাথরসকাণ্ডের সময় একই কাজ করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার ৷ দলিত মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷" এদিকে সিপিএমের তরফে সন্দেশখালির মানুষের প্রতি তৃণমূলের নারকীয় অত্যাচার, মহিলাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি-সহ নানা অভিযোগে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় আটক নিরাপদ সর্দারের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: