কলকাতা,2 মার্চ: প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেবে শিক্ষা দফতর । এইভাবে স্কুল বন্ধ হওয়ায় পঠন-পাঠনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ৷ ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্য়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় বিরূপ মনোভাব শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর । শিক্ষামন্ত্রী কথায়, "ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। এত তাড়াহুড়ো কীসের বুঝতে পারছি না। পঠন-পাঠনে অসুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেব।"
শুক্রবার রাজ্যে এসেছে 100 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । তাঁদের থাকার জন্য একাধিক সরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুল। সেখানে ইতিমধ্যেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণির ক্লাসের সময়সীমা কমানো হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আনন্দপুর হাইস্কুল, মেটিয়াবুরুজ, যাদবপুর, তিলজলার বিভিন্ন স্কুলের ক্ষেত্রেও । 7 তারিখ রাজ্যে আসছে আরও 50 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলত আরও বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষামহলের ৷
অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য কোনও স্কুল ব্যবহার করা হয়নি । সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলিকে। তবে বেশ কিছু স্কুলকে নোটিশ দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য তাদের কোনও সমস্যা হবে কি না।
পাশাপাশি এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাখা নিয়ে অসন্তুষ্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "আমরা স্কুল বন্ধের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। অনির্দিষ্টকালের জন্য তো স্কুল বন্ধ করা যায় না। সত্যি এটা বাস্তব হয় তাহলে অবশ্যই পড়াশোনায় একটা বিঘ্ন ঘটাবে। এই নিয়ে একটা পর্যালোচনা করতে হবে।"
আরও পড়ুন: