কলকাতা, 8 জুলাই: রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটাতে একাধিক নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তিনমাসের মধ্যে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ শেষ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত ৷ কী পদ্ধতিতে হবে নিয়োগ, আদালত তাও বলে দিয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তাঁর মতে, "আবারও জয় হল গণতন্ত্রের"৷
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত । সেই মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করতে হবে, যেখানে প্রাক্তন বিচারপতি হবেন চেয়ারপার্সন । এছাড়া প্রাক্তন বিচারপতি আরও চারজনকে এই বিশেষজ্ঞ কমিটির জন্য বেছে নেবেন । তারপর তাঁরা উপাচার্য পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি করে নাম তুলে পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে । সেই নাম গুলি থেকে একটি নাম পছন্দ করে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের সুপারিশ করে আচার্যের কাছে পাঠাবেন ।
সার্চ কমিটি যে তিনটি নাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে, সেই নাম যদি মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ না-হয়, তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন ৷ আবার একইরকমভাবে মুখ্যমন্ত্রী যে নামটি বেছে আচার্যের কাছে পাঠাবেন, সেটি যদি আচার্যের পছন্দ না-হয়, তাহলে তিনিও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন ৷ উচ্চশিক্ষা দফতর নোডাল বিভাগ হিসাবে কাজ করবে । আর এই পুরো কাজটার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে তিন মাস । উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই বিজ্ঞাপনে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের কথা উল্লখ করতে হবে ৷
— Bratya Basu (@basu_bratya) July 8, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেওয়ার পরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ৷ তিনি নিজের পোস্টে সুপ্রিম কোর্টের সম্পূর্ণ নির্দেশটির কথা তুলে ধরেছেন । তার পাশাপাশি তিনি লেখেন, "আবারও জয় হল গণতন্ত্রের"।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত । রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও কথা না-বলেই একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথা অনুযায়ী, একাধিকবার আলোচনা করলেও তাঁদের কথায় সায় দেননি আচার্য । অবশেষে তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিভাগ । যদিও এর পরে আচার্য শিক্ষা দফতরের কথা শোনেন এবং দু'পক্ষের আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয় ।