কলকাতা, 3 মে: 80 দিন পর প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ৷ আর এবারও শহর কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা ৷ মেধাতালিকার দিক থেকে এগিয়ে রইল জেলা ৷ সেরা দশের তালিকায় শেষে ঠাঁই কলকাতার ৷ কেন মেধা তালিকায় পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতার স্থান? তবে কী আর আগের মত কলকাতার সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলের ওপর ভরসা রাখছে না অভিভাবকেরা? মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷
তিনি বলেন, "যতদিন না কলকাতা কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলগুলির উপর অভিভাবকদের আবার আগ্রহ জন্মাচ্ছে, ততদিন এমন অবস্থা হতে পারে। তবে এই আগ্রহ জন্মানোর জন্য আমাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন আগেও আমরা নিয়েছিলাম। রামকৃষ্ণ মিশন বা সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ কাজ। ঠিক সেইভাবে এগোলেই স্কুলের মান উন্নয়ন হবে।"
তবে শিক্ষা দফতর এই উদ্যোগ নিতে গেলে আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেই জানান ব্রাত্য বসু ৷ আর তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে উদ্যোগমুখী এ ধরনের কাজ। তিনি বলেন, "স্কুলগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে বলে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলোয় যেখানে হাজার হাজার আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়ে। জেলার ফল ভালো হচ্ছে। কলকাতার ফলও যাতে হয় সেই দিকে নজর দেব। বোর্ডের সঙ্গেও আমি কথা বলব।"
যদিও এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "বামফ্রন্ট আমলে যখন এসএসসি হয়েছে বহু ভালো ভালো শিক্ষকেরা জেলায় গিয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ফলে ভালো ছাত্র-ছাত্রী তৈরি হয়েছে। তারই সঙ্গে জেলার ছাত্রছাত্রীদের একটি জেদ থাকে কলকাতাকে টেক্কা দেওয়ার। তাই তারা পড়াশোনা দিয়ে তাদের মধ্যে কলকাতা এবং জেলার যে পার্থক্য সেটা মিটিয়ে দেয়। আবার স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে যাদের সাধ্য রয়েছে তাদের সন্তানেরা কলকাতার সিবিএসসি-আইসিএস-এর দিকে ঝুঁকছে। এর কারণ হিসাবে একটি হল শিক্ষা দুর্নীতি। কিন্তু আমিও আশা রাখছি উচ্চমাধ্যমিকে আমরা হয়তো কলকাতার ভালো ফলাফল দেখব ।"
গত বছর মেধাতালিকায় দেখা যায়নি কলকাতার নাম। তবে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় 57 জনের মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে কলকাতার এক ছাত্রী। এছাড়াও কলকাতায় পাশের হার হল 91.62 শতাংশ। কিন্তু কেন আর দেখা যাচ্ছে না মেধাতালিকায় কলকাতার সেই ঐতিহ্যশালী স্কুলগুলির নাম! পর্ষদ সভাপতি মনে করেন প্রতিযোগিতা বেড়েছে তাই এই বদল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কথা অন্য । স্পষ্ট বললেন, ‘‘কলকাতা কেন্দ্রিক সরকারি স্কুলের ওপর অভিভাবকদের আগ্রহ কমে গিয়েছে, সেই কারণেই এই হাল।’’
আরও পড়ুন
1. মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুষ্পিতার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়রিং, চিকিৎসক হতে চায় তৃতীয় উদয়ন
2. প্রথম থেকে পরিশ্রম করলে রেজাল্ট আরও ভালো হত, আক্ষেপ মাধ্যমিকে পঞ্চম অর্ঘদীপের
3. ধোনি-অরিজিতের ফ্যান, চিকিৎসক হতে চায় মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয়