জলপাইগুড়ি, 2 জুলাই: যমুনায় স্নান করতে নেমে বিপত্তি ৷ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি । নদীতে জলের তোড়ে ছোট ভাই ভেসে যাচ্ছে দেখে বাঁচাতে গিয়েছিল দাদা ৷ তলিয়ে গেল সে-ও ৷ বহু খোঁজাখুঁজির পর ছোট ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ তবে এখনও নিখোঁজ তার দাদা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেরুবাড়ির শালবাড়ি তোফাপাড়াতে । যমুনা নদীতে তলিয়ে যাওয়া দুই ভাইকে উদ্ধারে নামানো হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ-এর জওয়ানদের । বর্ষার জলে এই মুহূর্তে ফুলে ফেঁপে রয়েছে যমুনা । ফলে ছোট ভাইয়ের দেহ মিললেও তার দাদার খোঁজে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, যমুনা নদীতে এখনও নিখোঁজ শুভজিৎ বিশ্বাস বেরুবাড়ি তপশিলি হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে । তার ছোট ভাই ঋত্বিক বিশ্বাস স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্নান করতে নেমেছিল ঋত্বিক ৷ তবে জলের প্রবল স্রোতে তাকে ভেসে যেতে দেখে ভাইকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে শুভজিৎ । এরপর দু'জনেই তলিয়ে যায় নদীতে ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা । আজ সকালে এক ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও আর একজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি । মানিকগঞ্জ আউট পোস্টের পুলিশকর্মীরা ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের জওয়ানরা ক্যাম্প করে তল্লাশি চালাচ্ছেন । প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া খবর, এখনও শুভজিৎকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷
নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ দাস বলেন, বেরুবাড়ি তোফাপাড়ার দুটো বাচ্চা নদীতে এসেছিল স্নান করতে এবং তারা ডুবে গিয়েছে । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পুলিশ, প্রশাসন এবং এনডিআরএফের দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে । একটি দেহ ঢোলগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ।