কলকাতা, 2 অগস্ট: লোকসভা নির্বাচন মিটতেই কলকাতা তথা রাজ্যের প্রায় সর্বত্র অবৈধ হকাররাজে লাগাম পড়াতে শুরু করেছে প্রশাসন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দু’দফায় কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত বড় রাস্তাগুলির উপর থেকে হকার উচ্ছেদ হয়েছে ৷ এবার বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়ার্ড ভিত্তিক হকার সমীক্ষা ৷ আর সেখানেই বৃহস্পতিবার দেখা গেল 3 নম্বর বরোর চেয়ারম্যান 13 নম্বর ওর্য়াডের স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য কিশোর রাউতকে ৷ তাঁর নেতৃত্বে পুরনিগমের আধিকারিকরা এদিন বরো তিনের সবক’টি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে সমীক্ষা চালালেন ৷
উল্লেখ্য, কেএমসি-র এক আধিকারিক বেহালা এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক হকার সমীক্ষা চালানোর সময় আক্রান্ত হন ৷ অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ওই আধিকারিককে মারধর করেন ৷ সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কলকাতা পুরনিগম একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ওয়ার্ড ভিত্তিক হকার সমীক্ষা চলাকালীন সকলের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক ৷ সেই মতো পুরনিগমের সকল আধিকারিক এবং কর্মী নিজেদের পরিচয়পত্র গলা ঝুলিয়ে সমীক্ষার কাজ করলেন ৷
তাঁদের নিরাপত্তায় সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিশের বাহিনী ৷ বরো তিনের অন্তর্গত ওয়ার্ড অর্থাৎ, উল্টোডাঙা, বিধাননগর, ক্যানেল ইস্ট রোড, গৌরীবাড়ি, অরবিন্দ সরণি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে ৷ সেই সমীক্ষা চলাকালীন তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউথকে দেখা গেল ৷ তিনি বরো এলাকার সব ওয়ার্ডে সমীক্ষার কাজ করা পুরনিগমের আধিকারিকদের দলের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলেন ৷ তাঁদের কাজে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, বা কেউ বাধা সৃষ্টি করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন ৷
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, বরো চেয়ারম্যানের সমীক্ষার কাজে যুক্ত দলের সঙ্গে ঘোরার পিছনে রয়েছে নির্দেশ ৷ আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুর প্রতিনিধিদের নিজেদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে ৷ অনিন্দ্য কিশোর রাউত বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বিভিন্ন এলাকায় এত দিন হকার সার্ভে হয়েছে ৷ এবার ওয়ার্ড ধরে ধরে হচ্ছে ৷ আমি নিজে থাকছি ৷ হকারদের বুঝিয়ে বলছি ৷ ডিজিটাল সমীক্ষা হচ্ছে ৷" আর সুরক্ষার বিষয়ে তিনি নিশ্চিত থাকতে বলেছেন ৷ এক দোকানদার জানিয়েছেন, ভোটার কার্ড, আধারকার্ড, নাম, ঠিকানা, কী ধরনের জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে ? এই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন পুরনিগমের আধিকারিকরা ৷