তমলুক, 25 মে: সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে ৷ আজ, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রামে তাই আলাদা করেই নজর রয়েছে কমিশনের ৷ ভোটের আগের রাত থেকেই সোনাচূড়া অঞ্চলে এলাকাবাসী অভিযোগ তোলেন, রাতভর বোমাবাজি চলেছে ৷ 279 নম্বর বুথ সোনাচূড়ার ভয় দেখানো হয়েছে তাঁদের ৷ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷
এলাকায় বোমাবাজির কারণে ইটিভি ভারতের ক্যামরায় তার দৃশ্যও উঠে এসেছে ৷ এদিকে, নন্দীগ্রামের বাবুখান বাড় এলাকার 29 নম্বর বুথে ভোট দিতে যাওয়ার পথে ভোটারদের রাস্তায় ধরে মারধর করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় বিজেপি সমর্থক ভোটারদের। তার জেরে আহত হয়েছেন 7 জন ৷ গুরুতর আহত দুই ৷ নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন ৷ এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷
আরও পড়ুন: বেলা 11টা পর্যন্ত কমিশনে অভিযোগ হাজারের দোরগোড়ায়
উল্লেখ্য, শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, মেদিনীপুর শহর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, তমলুকে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের 3 দিন আগে নন্দীগ্রামে খুন বিজেপি নেতার মা। বিজেপি নেতার মা-কে পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন। নিহত বিজেপি নেতার মায়ের নাম রথিবালা আড়ি। মৃতের ছেলে সঞ্জয় আড়ি সোনাচূড়ার বিজেপি এসসি মোর্চার অঞ্চল সম্পাদক। হামলায় গুরুতর জখম সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। বিজেপি সমর্থক খুনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।
সোনাচূড়ার একাধিক দোকানে ভাঙচুর করে আগুন ধরানো হয়। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে বিজেপি। লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এরপর গতকাল, শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান ৷
আরও পড়ুন: