ঝাড়গ্রাম, 2 জানুয়ারি: ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ উদ্ধার হাসপাতালেরই গ্রুপ সি কর্মীর। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে গাড়ি রাখার শেডে বিশ্বজিৎ সরকার ওরফে পল্টুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সুপার। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, "এদিন সকালে গ্রুপ সি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দিচ্ছে। কেন এরকম ঘটনা ঘটল, তা কিছুই বুঝতে পারছি না।" দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বজিৎ হাসপাতালে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। তিনি হাসপাতাল চত্বরে কোয়ার্টারে সপরিবারে থাকতেন। এদিন সকালে স্বাভাবিক দিনের মতোই নিজের স্কুটি নিয়ে গিয়ে চা খাওয়ার পাশাপাশি আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
কিন্তু হঠাৎ করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের সুপার গাড়ি রাখার শেডে বিশ্বজিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ৷ তিনিই খবর দেন ঝাড়গ্রাম থানায়। ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী কর্মী শুভেন্দু গোস্বামী বলেন, "বিশ্বজিৎবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন ৷ সকলের সঙ্গে মিশতেন ৷ মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতেন। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।"
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নানা পারিবারিক সমস্যার কারণে বিশ্বজিৎ হয়তো এই পথ বেছে নেন ৷ তবে, পুলিশি তদন্ত জারি রয়েছে ৷ ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, "হাসপাতালের একজন কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয় তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।"